দেশে ফাইজারের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন

0
436

খবর ৭১: কোভিডশিল্ড, স্পুটনিক ভি, সিনোফার্মের পরে দেশে চতুর্থ ভ্যাকসিন হিসেবে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেল ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়, ২৪ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশনের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর আবেদন করা হয়। ২৫ মে অধিদপ্তর ভ্যাকসিনের ডোসিয়ার (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পার্ট, সিএমসি পার্ট এবং রেগুলেটরি স্ট্যাটাস) মূল্যায়ন করে এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটির মতামতের জন্য উপস্থাপন করে। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার ফাইজার-বায়োএনটেকের এ টিকার জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়।

আরও জানানো হয়, ভ্যাকসিনটির লোকাল লিগ্যাল অর্গানাইজেশন হিসেবে থাকছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ফাইজারের টিকা ১২ বছরের বেশি বয়সের মানুষের জন্য ব্যবহারযোগ্য। তবে বাংলাদেশে সরকারের ডেপ্লয়মেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে এ টিকা দেওয়া হবে। ফাইজারের টিকার দুই ডোজের মধ্যে প্রথম ডোজের তিন থেকে চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।

এ টিকা ১২ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। টিকাটি দুই ডোজের। প্রথম ডোজ নেওয়ার ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। ফাইজারের টিকা মাইনাস ৯০ থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। তবে ৫ দিন ২ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এবং ২ ঘণ্টা ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় টিকাটির গুণাগুণ ঠিক থাকে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী কোভ্যাক্স গ্রুপ থেকে ফাইজারের টিকা দেশে আসছে। কোভ্যাক্স থেকে প্রথম ধাপে বিনামূল্যে দেশের ১১ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা আসার কথা রয়েছে। পরে সরকার চাইলে ওই গ্রুপ থেকে কিনে আরও টিকা আনতে পারবে।

কোভ্যাক্স-এর থেকে প্রথম চালান হিসেবে ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা এবং এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক উপকরণ আগামী সপ্তাহে দেশে পৌঁছবে। তবে এ টিকা কীভাবে দেওয়া হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

এখন পর্যন্ত দেশে এসেছে অক্সফোর্ডের মোট এক কোটি তিন লাখ ডোজ, চীনের সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ এবং এরপরই ফাইজারের আসছে এক লাখ ৬২০ ডোজ। এ ছাড়া জুনের মধ্যেই চীনের আরো ছয় লাখ ডোজসহ একাধিক মাধ্যমে আরও কয়েক লাখ টিকা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে অক্সফোর্ডের টিকাও থাকবে বলে ওই সূত্র জানায়।

অক্সফোর্ডের টিকা দেওয়া শুরু হয় ২৭ জানুয়ারি। আর গত মঙ্গলবার (২৫ মে) থেকে চীনের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here