খবর ৭১
আগামী সপ্তাহে ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পিক-এ বা সর্বোচ্চে পৌঁছাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ভারত সরকারের একজন উপদেষ্টা। এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন সরকার নিয়োজিত বিজ্ঞানীদের একটি গ্রুপের প্রধান এম বিদ্যাসাগর।
বিজ্ঞানীদের এই গ্রুপটি করোনা সংক্রমণের প্রক্ষেপণ তৈরি করে। অর্থাৎ তারা ভবিষ্যদ্বাণী দেন যে পরিস্থিতি কখন কোনদিকে মোড় নিতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
বিজ্ঞানীদের ওই মডেলে বলা হয়েছে, আগামী ৩ থেকে ৫ই মে’র মধ্যে পিক-এ পৌঁছতে পারে সংক্রমণ। এর আগে করোনা সংক্রমণের এই পিকের সময় আরো বাড়িয়ে প্রক্ষেপণ দিয়েছিলেন তারা ও অন্য দেশের বিজ্ঞানীরা। কিন্তু ভারত সরকারের এই উপদেষ্টাদের ভবিষ্যদ্বাণী তা থেকে অনেকটা এগিয়ে এসেছে সময়ের দিক দিয়ে।
এরই মধ্যে টানা ৯ দিন ভারতে নতুন করে করোনা শনাক্তের সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে। কোনো কোনোদিন তা চার লাখ ছুঁই ছুঁই।
এম বিদ্যাসাগর বলেছেন, আমাদের বিশ্বাস- আগামী সপ্তাহে দেশজুড়ে দৈনিক করোনা সংক্রমণ পিকে পৌঁছাতে পারে। তিনি বলেন, তার এই গ্রুপটি এর আগে গত ১২ই এপ্রিল ভারত সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলেন যে, ৫ থেকে ১০ই মের মধ্যে সংক্রমণ পিকে পৌঁছাতে পারে।
এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৯১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৪ জন। আর এ মহামারিতে মারা গেছেন দুই লাখ ১১ হাজার ৮৩৫ জন।
দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মহামারি করোনায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। শহরটিতে প্রতি চার মিনিটে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে চলছে অক্সিজেনের তীব্র সংকট। এর দায় রাজ্য সরকারের ওপর চাপাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
এর মধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, শহরবাসীকে এখন দেয়ার মতো ভ্যাকসিন তাদের হাতে নেই। সরকার বেসরকারি সংস্থা থেকে ভ্যাকসিন কেনার চেষ্টা করছে। দিল্লির সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো হাসপাতালেই নেই শয্যা। অক্সিজেনের জন্য হাহাকার তো আছেই।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার (১ মে) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন ১৪ হাজার ২৬৬ জন। নতুন করে ৮ লাখ ৭১ হাজার ৫৯৮ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫৩ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ কোটি ২০ লাখ ২ হাজার ৩৬৫ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ কোটি ৯২ লাখ ৭১ হাজার ৪৭ জন।