টিকা কেনায় টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক, পাচ্ছে বাংলাদেশও

0
181

খবর৭১ঃ বাংলাদেশসহ ১৭টি দেশের জন্য করোনার টিকা কেনায় আবার তহবিল গঠন করেছে বিশ্বব্যাংক। এবারের এই তহবিলের আকার ২০০ কোটি ডলার। নতুন তহবিল থেকে বাংলাদেশ কত অর্থ পাবে, তা জানায়নি বিশ্বব্যাংক। তবে বাংলাদেশ কত টাকা নিতে চায়, এর ওপর দর-কষাকষির ভিত্তিতে অর্থ পাওয়া যাবে।

এর আগে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ, নেপালসহ ৯টি দেশের জন্য ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার গঠন করেছিল বিশ্বব্যাংক। সেখান থেকে বাংলাদেশ ৫০ কোটি ডলার পেয়েছে। গত বছর করোনার শুরুতে তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে ১০ কোটি ডলার পায় বাংলাদেশ। এ ছাড়া করোনায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন কর্মসূচিতে এই পর্যন্ত প্রায় ১৫০ কোটি ডলার ঋণ নেওয়া হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক ২০ এপ্রিল নতুন এই তহবিল গঠনের ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশ ছাড়াও এই তালিকায় আছে নেপাল, আফগানিস্তান, কেপ ভার্দে, আইভরি কোস্ট, ইকুয়েডর, এল সালভেদর, এসওয়াতিনি, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, হন্ডুরাস, লেবানন, মঙ্গোলিয়া, ফিলিপাইন, রুয়ান্ডা, তাজিকিস্তান ও তিউনিসিয়া।

টিকা কেনা ও সরবরাহের কাজে নতুন তহবিলের অর্থ ব্যবহার করা হবে। তবে এই মুহূর্তে টিকা জোগাড় করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের এই অর্থ ব্যবহারে শর্তও শিথিল করা হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে দেশগুলো কোভ্যাক্স কিংবা অন্য কোনো সূত্র থেকে টিকা কিনতে পারবে।

এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতেও খরচ করতে পারবে। এ ছাড়া চিকিৎসাসামগ্রী, ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী, টিকা সংরক্ষণাগার, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কাজে এই অর্থ খরচ করা যাবে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘টিকা কেনার অর্থের জোগানের কোনো সংকট নেই। বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী অর্থ দিচ্ছে। কিন্তু টিকা জোগাড় করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। টিকার জন্য এক দেশ ও একটি কোম্পানির ওপর নির্ভরশীলতা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, তা এখন দেখতে পাচ্ছি।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here