গিনেস বুকে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’

0
263

খবর৭১ঃ

বগুড়ার শেরপুরে ১০০ বিঘা ধানের খেতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে। সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র (লার্জেস্ট ক্রপ ফিল্ড মোজাইক) ক্যাটাগরিতে গিনেজ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে এই প্রতিকৃতিটি।

মঙ্গলবার ( ১৬ মার্চ) বিকেলে পৌনে চারটায় গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ অফিসিয়ালি মেইল করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইত্তেফাক অনলাইনকে এ কথা জানিয়েছেন, ‘শস্যচিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং আহ্বায়ক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম বালেন্দার চোখজুড়ানো দিগন্ত বিস্তৃত মাঠেই তৈরি হয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহত্ ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর’ এই প্রতিকৃতি। এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে ‘শস্যচিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’। এই আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ার।

শিল্প-সমালোচক মঈনুদ্দীন খালেদ বলেন, ‘এটি একটি বিশাল ইন্সটলেশন আর্ট, বাংলায় যাকে বলা হয় স্থাপনা শিল্প। এভাবে ধানের চারা দিয়ে শিল্পসৃষ্টি একেবারেই নতুন ভাবনা। এটিকে নিউ মিডিয়া বলা যেতে পারে। এই স্থাপনা শিল্পে দেশের প্রধান শস্য ধানের সঙ্গে জাতির জনকের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মাটি আমাদের সম্পদ আর এই মাটি থেকেই মানুষটি উঠে এসেছেন যিনি বাংলাদেশের স্থপতি।’

এরআগে, ‘শস্যচিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং আহ্বায়ক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম জানান, বিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্যচিত্র হিসেবে নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এরইমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ করা হয়েছে। শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু-এর ভিডিওসহ প্রয়োজনীয় দলিল গিনেজ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। আগামী ১৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে নতুন বিশ্বরেকর্ড অর্জন উদ্যাপন করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

চিত্রকর্মটি বাস্তবায়নকারী ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ারের ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৯ সালে চীনে তৈরি শস্যচিত্রটির আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। আর আমাদের এই শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির আয়তন হবে ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। শস্যচিত্রটির দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার এবং প্রস্থ ৩০০ মিটার। এই চিত্রকর্ম সম্পন্ন হলে বিশ্বের সর্ববৃহত্ শস্যচিত্র হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে এটি স্থান পাবে।

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিত্রকর্মটি সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ারের কর্মকর্তা-কর্মচারী। ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ারের সহকারী ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, জাতির জনকের জন্মশতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ জাতের ধান চাষের মাধ্যমে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সদস্যদের নিয়ে এর লে-আউট তৈরি করা হয়। চারা লাগানোর জন্য নির্ধারিত মাঠ প্রস্তুত করা হয়। এই কাজে ১০০ বিএনসিসি সদস্যের দল অংশ নেয়। প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৩০ জন শ্রমিক চারা রোপণের কাজ করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here