বানিয়াচঙ্গে হত্যা মামলা তুলে না নেয়ায় স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত

0
350

মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গে হত্যা মামলা তুলে না নেয়ায় নিজ ঘরে প্রবেশ করে মারজানা আক্তার (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার ইকরাম গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত মারজানা আক্তার ওই গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার কন্যা। সে স্থানীয় নন্দপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মারজানা রাতে ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিল। বুধবার সকালে একদল দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে তাকে কুপিয়ে জখম করে। সকালে পাশের বাড়ির একজন তাকে ডাকতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় তিনি চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে সিলেটে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আজমান মিয়া জানান, প্রায় ৩ বছর পুর্বে আহত মারজানা আক্তারের বড় বোন ফারজানাকে হত্যা করা হয়। পরে এ ঘটনায় একই গ্রামের দুলাল মিয়ার পুত্র মোশারফ, জলফু মিয়ার পুত্র ইসমাইল, সোলাইমান মিয়ার পুত্র বকুল মিয়া, সুলতান মিয়ার পুত্র ফারসু মিয়াসহ বেশ কয়েকজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামীরা মামলা তুলে নিতে তাদের উপর চাপ প্রয়োগসহ হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। এরই জেরধরে তাকে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে।আহত মারজানার মা মাধু মালা জানান, তার বড় মেয়ে হত্যা মামলার সাক্ষী ছিল ছোট মেয়ে মারজানা। আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বেশ কিছুদিন ধরে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে। তারাই আমার ছোট মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করেছে। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আাবিদুর রেজা জানান, আহত মারজানার মাথায় এবং গলায় আঘাত গুরুতর। তাই প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে সিলেটে রেফার করা হয়েছে। বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ সেলিম জানান, পুলিশ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে কাজ করছে। আশা করি শিগগিরই এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here