শ্রবণ সমস্যায় ভুগছে দেশের ৯.৬ ভাগ মানুষ

0
237
শ্রবণ সমস্যায় ভুগছে দেশের ৯.৬ ভাগ মানুষ

খবর৭১ঃ বধিরতা রোধে পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় কর্মকৌশল গ্রহণের তাগিদ দিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, দেশের মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বিভিন্ন মাত্রায় বধিরতায় ভোগে। তাই শহরে শব্দ দূষণ কমানো ও জনসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা।

শ্রবণজনিত সমস্যা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে প্রতি বছর ৩ মার্চ বিশ্ব শ্রবণ দিবস পালন হয়ে আসছে। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ঢাকা ক্লাবে ‘বধিরতা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে বাংলাদেশ’ শিরোনামে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশে সোসাইটি অব অটোলজি।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মঙ্গলবার এক সতর্কবার্তায় বলেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রতি চারজনে একজন কোনো কিছু শোনার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বে।

জাতিসংঘের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠানটি এক প্রতিবেদনে এই বার্তা দিয়েছে। একই সঙ্গে শ্রবণ সমস্যা রোধ ও চিকিৎসায় অতিরিক্ত বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, দেশে মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন মাত্রায় বধিরতায় ভোগে। বধিরতার মাত্রা সঠিকভাবে নিরূপণের জন্য আবার পরীক্ষা প্রয়োজন। কর্ণ ও শ্রবণ সেবাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত এবং নবজাতকদের বধিরতা আছে কি না, তা পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

আলোচনা সভায় বক্তারা সব সরকারি মেডিকেল কলেজে অডিওলজি বিভাগ চালু এবং উন্নত করা, শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য কানে শোনার যন্ত্র সহজলভ্য করা, আগামী পাঁচ বছরের জন্য বধিরতা রোধে জাতীয় পর্যায়ে কর্মকৌশল গ্রহণ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অডিওলজির ওপর স্নাতক কোর্স চালু করা ও চিকিৎসক, অডিওলজিস্ট ও স্পিচ থেরাপিস্টসহ শ্রবণ পরিচর্যায় নিয়োজিত জনশক্তিকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশে সোসাইটি অব অটোলজির সভাপতি অধ্যাপক আবুল হাসনাত জোয়ারদার বলেন, শব্দদূষণের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবহিতকরণ, সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি হাইড্রোলিক হর্ন নিষিদ্ধ করতে হবে।

শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ কানের খৈল শক্ত হয়ে জমাট বাঁধা এমন তথ্য দিয়ে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ প্রাণ গোপাল বলেন, বাংলাদেশে এর হার ১১ দশমিক ৫ শতাংশ, যা অনেকটাই প্রতিরোধ যোগ্য।

ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, বধিরতা নিয়ন্ত্রণে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গবেষণা ও চিকিৎসায় ভূমিকা পালন করছে।

আলোচনা সভায় অধ্যাপক এম আব্দুল্লাহ, অধ্যাপক কামরুল হাসান তরফদার, অধ্যাপক বেলায়াত হোসাইন সিদ্দিকী, অধ্যাপক ইউসুফ ফকির, অধ্যাপক নাজমুল ইসলামসহ তিন শতাধিক নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ও অডিওলজিস্ট উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here