শায়েস্তাগঞ্জে নয় মাস ধরে উপবৃত্তি পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা

0
229
হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে আবারও জমে উঠেছে জুয়ার আসর

মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে নয় মাস যাবৎ উপবৃত্তি পাচ্ছেনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পায়নি। এদিকে উপবৃত্তি না পাওয়ায় অভিবাবকরা কিছুটা হতাশ হয়েছেন। একদিকে স্কুল বন্ধ থাকায় ছেলেমেয়েরা ঠিকমত পড়ালেখা করতে পারছেনা, আবার উপবৃত্তিও বন্ধ রয়েছে।জানা যায়, আগে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান শিউর ক্যাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অভিবাবকের মোবাইলে পৌঁছে দেয়া হত উপবৃত্তির টাকা। শিউর ক্যাশ থেকে এখন নগদের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দেয়া হবে, সে জন্য সকল অভিবাবকের নগদ একাউন্ট খুলে জমা দিতে হচ্ছে। অর্থ প্রদানে নিয়োজিত মোবাইল ব্যাংকিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এপ্রিল মে ও জুন তিন মাসের টাকা একসাথে দেয়া হবে। বাকী ছয় মাসের টাকা পরবর্তীতে ক্রমান্বয়ে দেয়া হবে।আগামী ২৫ জানুয়ারী শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ২৮ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হালনাগাদ করণ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সকল শিক্ষার্থীরাই মাসে ১৫০ টাকা করে তিন মাস পর পর ৪৫০ টাকা বছর জুড়ে পেয়ে অভ্যস্ত। যে শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাবেন তার অভিবাবকের নিজের নামে সিম কার্ড রেজিষ্ট্রেশনসহ নগদ একাউন্ট থাকতে হয়।

তবে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে একাধিকবার সময় বাড়ানোর পরে ও হালনাগাদ সঠিকভাবে করা হয়নি তাই এবার ও ২৫ জানুয়ারী হালনাগাদ শেষ হবে কিনা এ নিয়ে রয়েছে সংশয়। এদিকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন উপজেলা হওয়ায় এখনে কতগুলো শিক্ষার্থী এ উপজেলায় উপবৃত্তি পাচ্ছে তা এখনো আলাদা করা হয়নি।বাবুল চৌধুরী নামে এক অভিবাবক জানান, গত নয় মাস যাবত উপবৃত্তি বন্ধ রয়েছে। সালমা বেগম নামে আরেক অভিবাবক বলেন টানাটানির সংসারে উপবৃত্তির টাকা পাইলে মেয়েটারে ভালো মাছ – মাংস খাওয়াইতাম আগে। নয় মাস ধরে আর ভালো কিছু খাওয়াইতে পারি না।

উপজেলার সাবাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফখরুউদ্দিন বলেন আমার স্কুলের ২৫৮ জন শিক্ষার্থীর তালিকা ইতিমধ্যে অনলাইনে আপলোড দিয়েছি। অনুমোদন হয়ে টাকা আসার বিষয়টা সম্পূর্ণ মন্ত্রনালয়ের বিষয়।এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টি ও) মোঃ রাহিম মিয়া জানান, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাকে এখনো আলাদা করা হয়নি, সেজন্য শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কতজন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির আওতায় আছে তা এখনো বলা যাচ্ছেনা। এখন এগুলো সবই অনলাইন করা হচ্ছে, হালনাগাদ শেষ হলে আমার কাছে একটি লিস্ট আসবে তখন বিস্তারিত বলা যাবে।এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ( টি ও) মোহাম্মদ আলী বলেন এখনো শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা হবিগঞ্জ সদরের অধীনে রয়েছে। চার মাস আগে এখানে তার পদায়ন হলেও এখনো অফিসের কাজ পুরিপুরি ভাবে শুরু করতে পারেনি বলেও জানান তিনি। তবে মন্ত্রনালয়ের ইতিমধ্যে তিনি চিঠি দিয়েছেন উপজেলার ২৮ টি স্কুল কে তার অফিসের অধীনে স্থানান্তর করার জন্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here