ঘাটাইলে গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ; মামলা তুলে নেয়ার হুমকি

0
293
ঘাটাইলে গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ; মামলা তুলে নেয়ার হুমকি

ঘাটাইল(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ এখনো মামলার একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মেয়েটির পরিবার ভুগছে চরম নিরাপত্তাহীনতায়।

জানাযায়, ঘাটাইলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। গতবছর (২ই ডিসেম্বর) রাতে ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের কামালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে চলতি বছর (৩রা জানুয়ারি) ভুক্তভোগী ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে এক জনকে আসামি করে টাঙ্গাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আইনে মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত ইয়ার মাহমুদ ওরফে মামুন(৪৫) উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নের গাংগাইর এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে।

মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আসলাম সিকদারের স্ত্রী মোসাঃ রাহিমা(১৯) কে একা পেয়ে রাত সাড়ে ৭টায় বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় মামুন। বাড়ির নিকটে মামুনের মুরগির ফার্মের থাকার ঘরে অমানসিক নির্যাতন ও জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে জানালে বা প্রকাশ করলে মেরে ফেলার ভয়-ভীতি দেখায়।

পরদিন (৩রা ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার ঘটনা জানাজানি হলে কয়েকদফা গ্রাম্য সালিশে কিছু টাকা দিয়ে মীমাংসার আলোচনা হলেও এতে রাজি হয়নি ভুক্তভোগী পরিবার। এ বিষয়ে কোন মামলা করতেও বাধাঁ দিয়েছেন অভিযুক্ত ব্যাক্তি। চাপের প্রতিকূলে গিয়ে পরবর্তীতে প্রায় ১মাস পর টাঙ্গাইলের আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই নারী। কিন্তু মামলা দায়ের করার পরও উল্টো মামলা তুলে নেয়ার নানা হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বিরোধী পক্ষ।

জানতে চাইলে ভুক্তভোগী রাহিমা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল মামুন। ওইদিন রাতে বাড়িতে কেউ না থাকায় তাকে জোরজবরদস্তি করে মুখ ছাপিয়ে তার ফার্মের থাকার ঘরে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও ধর্ষণ করে। গোপনে মোবাইলেও ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনা প্রকাশ করলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে, মেরে লাশ গুমেরও হুমকি দেয়। এখন মামলা তুলে নেয়ার জন্যও চাপ দিচ্ছে।

দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে প্রভাবশালীর লালসার শিকার রাহিমা। তবে বিচার সালিশের নামে স্থানীয় মাতব্বরদের আশ্বাস যেন দীর্ঘশ্বাস! দিশে হারিয়ে পরিশেষে মামলা দায়ের করেন ওই ভুক্তভোগী। এ মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানা হুমকি ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ।

মেয়েটির মা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোন রকম সংসার চালাই। বাড়িতে না থাকায় মধ্যবয়স্ক মামুন আমার মেয়েটির সর্বনাশ করল। এখন সে আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

একাধিক বার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় এ বিষয়ে ইয়ার মাহমুদ মামুনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী জানান, ঘটনা শোনার পর তাদের ডেকেছিলাম। দ্বিতীয় পক্ষ আসেনি। পরে কিছু জানিনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here