খবর৭১ঃ করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংকট ও প্রভাবে এসডিজি অর্জন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এই প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা এবং দৃঢ় অংশীদারিত্ব চায় ঢাকা।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠককালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন। তিনি জাতিসংঘের সাথে সমন্বিত অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন, যাতে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে ড. মোমেন দারিদ্র্য হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন এবং অন্যান্য আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তৈরি পোশাক খাত এবং প্রবাসী কর্মসংস্থানের ওপর করোনা মহামারি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ দুটি খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। তিনি ফেরত আসা অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং তাদের পুনরায় কর্মসংস্থান এবং বিদেশে ফিরে যেতে জাতিসংঘের সহায়তা চান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে জাতিসংঘ আরো সহায়তা বাড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে জলবায়ু প্রভাবের কথা তুলে ধরে প্যারিস চুক্তির আলোকে জলবায়ু প্রভাব নিরসনে উন্নত দেশগুলোর দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে রাখাইনে প্রত্যাবাসন সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান। আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো বলেন, কোভিড-১৯ এর আর্থ-সামাজিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার জন্য জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সার্বিক সহায়তা দেবে।