শনাক্তের হার ২০ শতাংশের নিচে নামছে না

0
309
শনাক্তের হার ২০ শতাংশের নিচে নামছে না

খবর৭১ঃ

নার্স সাবিনা আক্তারের সঙ্গে করোনা পরীক্ষার জন্য এসেছে তার শিশুকন্যা আরিশা। লাইনে দাঁড়িয়ে মেয়ের মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ার সময় মায়ের মাস্কের দিকে কৌতূহলী চোখে তাকিয়ে ছিল শিশুটি। গতকাল মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে —আব্দুল গনি করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর দৈনিক করোনা রোগী শনাক্তের হারও ২০ শতাংশের নিচে নামছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৯২ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে গতকাল শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি।

২৪ জুন এই হার ছিল ২১ দশমিক ০৭ শতাংশ। ২৩ জুন ২০ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ২২ জুন ২২ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ২১ জুন ২২ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ২০ জুন ২৩ দশমিক ০৯ শতাংশ, ১৯ জুন ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও ১৮ জুন ২৩ দশমিক ২৯ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়।

এক দিনে আরো ৩৯ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৬২১ জন। বুধবারের চেয়ে বৃহস্পতিবার দুই জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। বুধবার ৩৭ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯৪৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এতে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৬০৬ জন।

নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বৃহস্পতিবার দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন। আইইডিসিআরের অনুমিত হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও বাড়িতে থেকে চিকিত্সা নেওয়া রোগীদের মধ্যে আরো ১ হাজার ৮২৯ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৫১ হাজার ৪৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তার ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। ১৮ জুন দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়। দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৫৩ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ১৬ জুনের বুলেটিনে। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড আছে ৪ হাজার আট জনের। এ তথ্য জানানো হয় ১৭ জুনের বুলেটিনে।

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ ও সাত জন নারী। তাদের মধ্যে ২৮ জন হাসপাতালে, ১১ জন বাড়িতে মারা গেছেন। এই ৩৯ জনের মধ্যে এক জনের বয়স ৯০ বছরের বেশি। এছাড়া সাত জনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, ৯ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, সাত জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, এক জনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, দুই জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

তাদের ১০ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, পাঁচ জন রাজশাহী বিভাগের, পাঁচ জন খুলনা বিভাগের, দুই জন বরিশাল বিভাগের, চার জন রংপুর বিভাগের এবং তিন জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা। বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬টি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৯৯টি নমুনা। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৬৪৫ জনকে। বর্তমানে সারাদেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৩ হাজার ৪২৯ জন রোগী। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here