মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় ১নং গাজীপুর ইউনিয়নের কেদারাকোর্ট গ্রামে লটকন আর আমবাগানে এখন বাম্পার ফলন। অতীতের তুলনায় ফলন অনেকাংশে বেশি হওয়ায় চাষিরা লাভবান হবার কথা থাকলেও এবার উল্টোচিত্র। আম, কাঁঠাল, লেবু, মাল্টা, পেয়ারার বাম্পার ফলন হলেও করোনার প্রভাবে লোকসান গুনছেন চাষিরা।কথা হয় লটকন চাষি জালাল উদ্দীন খানের সাথে। তিনি বলেন, প্রায় ২ একর ৪২, শতক জায়গা জোড়ে এই বিভিন্ন ধরনের ফলের বাগান করেছি। কিন্তু দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বাম্পার ফলন হওয়া সত্যেও লোকসানের ঝুঁকিতে আছি। কারণ প্রতিবছর বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার এসে সরাসরি আমার বাগান থেকে ফল সংগ্রহ করতো।
কিন্তু এ বছরে করোনাভাইরাস থাকায় কোন পাইকার দূরের কথা খুচরা পাইকারও আসছেনা। ফলে খরচ ঠিকই চলমান, অথচ বিক্রি করার সুযোগ হচ্ছে না। কাঁচা ফল সময়মত বিক্রি না করতে পারায় ঝরে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমার ৪/৫লক্ষ টাকা লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অনলাইনের মাধ্যমে কিছু ফল বিক্রি করতেছি। তবে সব মিলিয়ে নতুনব্রীজ পৌঁছাতে গিয়ে তেমন লাভ হচ্ছে না।এ বিষয়ে সরকারি কোন সহযোগিতা পাচ্ছেন কি জানতে চাইলে জালাল উদ্দীন খান, জানান ৩ বছর আগে অল্প কয়টা মাল্টা চারা ব্যতীত কোন আর্থিক অনার্থিক সহযোগিতা পাইনি। তবে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার ভাইয়ের কাছ থেকে মাঝেমধ্যে পরামর্শ পাচ্ছি।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জালাল সরকার বলেন, জালাল উদ্দিনের বাগানের সামগ্রিক বিষয়ে আমি অবগত আছি। তিনি যখনই আমাদেরকে স্মরণ করতেন বা আমরাও বাগান পরিদর্শনে বেশ কয়েক বার গিয়েছি। তবে ইদানীং মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যে তিনিও যোগাযোগ করেন না আমাদেরকেও যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠেনি। প্রায় বছরেই আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃক্ষ ও ফলজ মেলা বসতো, আমরা উনাদের নিয়েই আয়োজন করতাম। তবে এ বছরে করোনাভাইরাসের কারণে কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সকল উদ্যোক্তাকেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে উনি নিজ থেকে প্রচার প্রসার ঘটাতে হবে। যেহেতু বাজারে সুলভে এমন ফল পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে সকলকে বুঝাতে হবে যে এটি কোন প্রকার রাসায়নিক মুক্ত। আমরাও উনাকে এ বিষয়ে যথাযথ সহযোগিতা করবো।