সাগরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রবাহী নৌকা, আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্র

0
276

খবর ৭১ঃ পারস্য উপসাগরে ছোট ছোট নৌকায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের ছবি সাম্প্রতিক হোয়াইট হাউস কর্মকর্তাদের আসা হুঁশিয়ারির অন্যতম কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পারস্য উপসাগরে আকাশ থেকে তোলা ছবিতে ক্ষেপণাস্ত্র জড়ো করে রাখতে দেখা গেছে। ইরানি আধা সামরিক বাহিনী এসব ক্ষেপণাস্ত্র নৌকায় উঠাচ্ছেন।

এতে মার্কিন নৌজাহাজে বিপ্লবী গার্ড বাহিনী হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দারা বিভিন্ন ধরনের হুমকির কথা উপস্থাপন করেছেন, যা এর আগে ইরানের কাছ থেকে এসেছিল। কট্টরপন্থী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ছবির এসব ক্ষেপণাস্ত্রকে হুমকির অজুহাত হিসেবে বিবেচনা করেছেন।

এছাড়াও বাণিজ্যিক জাহাজের বিরুদ্ধে হুমকির বিষয়টি তুলে ধরে অতিরিক্ত গোয়েন্দা তথ্য জড়ো করা হয়েছে। এতে মার্কিন বাহিনীর ওপর ইরানের মিত্র আরব মিলিশিয়াদের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কা করা হয়েছে।

কিন্তু এই হুশিয়ারি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কীভাবে সতর্ক হওয়া উচিত তা নিয়ে হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন, মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা(সিআইএ) ও দেশটির মিত্রদের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে।

ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্রের ছবিকে ট্রাম্পের প্রশাসনের কট্টরপন্থীরা হুমকি হিসেবে দেখলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইরাক, কংগ্রেস ও রিপাবলিকান কর্মকর্তারা এটা প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করছে।

ছোট একটি নৌকায় ক্ষেপণাস্ত্র তোলার ওই ছবির ওপর ভিত্তি করে ইরান যে ক্রমাগত হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে, তা প্রমাণ করতে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তবে পেন্টাগন এখনো ছবিটি প্রকাশ করেনি।

কিন্তু আমেরিকান আইনপ্রণেতা ও দেশটির জনগণের কাছে ইরানকে ক্রমবর্ধমান হুমকি হিসেবে উপস্থাপন করতে এই একটি ছবিই যথেষ্ট বলে মনে করছেন না মার্কিন মিত্ররা।

এর আগে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র জাহাজে ভরা হচ্ছে বলে দেখা গেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বের হয়ে আসা বিস্তারিত তথ্য বলছে, মার্কিন কর্মকর্তারা এমন সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছেন যে বিদেশি মিলিশিয়াদের কাছে অস্ত্র হস্তান্তরের ইচ্ছা ইরানের নেই।

মার্কিন পররাষ্ট্র সম্পর্ক ও গোয়েন্দা কমিটির সদস্য মার্কো রুবিও গত সপ্তাহে বলেন, তিনি ইরানের সঙ্গে কোনো যুদ্ধে যেতে চান না। কেবল আক্রান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই জবাব দেবে বলে তিনি মনে করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here