খবর৭১ঃ খাদ্যে ভেজাল মেশানোর সঙ্গে জড়িতদের সতর্ক করে দিয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। খাদ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশিয়ে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না। নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অসুস্থ জাতি নিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত। হাইকোর্ট বলেন, কোন কোন কোম্পানির দুধ ক্ষতিকর তা জানতে চায় মানুষ।
বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ দুধ ও দইয়ে রাসায়নিক পাওয়া সংক্রান্ত আবেদনের শুনানিতে এসব কথা বলেন। কোন কোন কোম্পানির দুধ ও দইয়ে ভেজাল বা রাসায়নিক দ্রব্য পাওয়া গেছে এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের নাম-ঠিকানা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
১৫ মে’র মধ্যে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে এ তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছিল। আজকে বিএসটিআই এবং নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের দুই কর্মকতা আদালতে হাজির হয়ে সময় আবেদন করেন। পরে তাদেরকে ২৩ জুন পর্যন্ত সময় দেন আদালত। ওই দিন তাদেরকে দুধ ও দইয়ের সকল পরীক্ষা সম্পন্ন করে আদালতে প্রতিবেন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে বাজার থেকে সংগৃহীত কাচা তরল দুধের ৯৬ নমুনার মধ্যে ৯৩ টিতেই সীসা, অ্যান্টিবায়েটিক অনুজীব পাওয়া গেছে বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পরে কোন কোন কোম্পানি দুধে এই ভেজাল বা রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর সঙ্গে জড়িত তাদের পরিচয় জানাতে নির্দেশ দেন আদালত।