আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাটঃ শিক্ষকের বেধম বেত্রাঘাতে রাফি জিহাদ(১৪) নামে এক শিক্ষার্থী লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তার সহপাঠিরা। রাফি জিহাদ উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মহিষাশ্বহর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য একরামুল হক জাদু’র ছেলে। সে স্থানীয় মহিষাশ্বহর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র।
শিক্ষার্থীর সহপাঠি ও চিকিৎসকরা জানান, বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক নুর মোহাম্মদের ভাগ্নে ৮ম শ্রেনীর ছাত্র আজিজুল ইসলাম বিদ্যালয় চলাকালিন সময় কয়েকজন সহপাঠি মিলে দুষ্টমি করতে বিতন্ডা বাঁধে রাফি জিহাদের। এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠান প্রধান আতাউর রহমান আজিজুলের অভিভাবকদের নিয়ে বিদ্যালয়ে বৈঠকে বসেন। এ সময় জিহাদকে দুই বেত এক সঙ্গে করে বেধম পারপিট করেন প্রতিষ্ঠান প্রধান আতাউর রহমান। এতে শিক্ষার্থী রাফি জিহাদ অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পড়ে গিয়ে সজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। এরপর নিজেদের দোষ ঢাকতে সাদা কাগজে রাফি জিহাদের স্বাক্ষর নেন সহকারী শিক্ষক নুর মোহাম্মদ। অসুস্থ রাফি জিহাদকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় সহপাঠিরা আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের বেডে অসুস্থ শিক্ষার্থী রাফি জিহাদ জানান, বৈঠকের নামে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে দুইটি বেত এক সঙ্গে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করলে মেঝেতে পড়ে গেলেও বেত্রাঘাত থামাননি প্রতিষ্ঠান প্রধান। যাতে আইনী কোন ব্যবস্থা নিতে না পারে সেজন্য একটি সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর নেয়া হয় বলেও অভিযোগ তার।
আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্ব থাকা উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ চন্দ্র জানান, ওই শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত চিহ্ন রয়েছে। বাম চোখের নিচেও আঘাত পেয়েছে।
মহিষাশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রতিষ্ঠান প্রধান আতাউর রহমান জানান, ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা দুষ্টমী করায় রাফি জিহাদকে একটু শাসন করা হয়েছে মাত্র। তবে হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি তার জানা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান তিনি।!
খবর৭১/এসঃ