মো: হুমায়ুন কবির জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্রটি ৩১ শষ্যা থেকে ৫০শষ্যায় উন্নীত হলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর এক্্র-রে মেশিনটি প্রায় এক যুগ ধরে বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের এক্্র-রে করার প্রয়োজন হলে হাসপাতাল পয়েন্টে অবস্থিত বিভিন্ন প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে হচ্ছে। এতে অনেক গরীব ও অসহায় রোগীরা অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসা যাওয়ার পথে রোগীদের পড়তে হয় নানা ভোগান্তিতে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানান, বেসরকারি ভাবে গড়ে উঠা ডায়গনস্টিক সেন্টার গুলোতে অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান না থাকায় রোগীরা প্রতারিত হচ্ছেন । প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র।
এক্্র-রে সেবা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ, বাহিরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাথে হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তারদের যোগসাজোগ থাকায় অনেক রোগীকেই এক্্র-রে করানোর জন্য তাদের পছন্দের ডায়গনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে দেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে এক্্র-রে মেশিনটি আসার পর এক্্র-রে বিভাগের টেকনিশিয়ান না থাকায় অধ্যবদি পর্যন্ত এক্্র-রে মেশিনটি বন্ধ রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মধু সুদন ধর জানান, এক্্র-রে মেশিন আসার পর থেকে টেকনিশিয়ান না নাকায় বন্ধ রয়েছে। টেকনিশিয়ান না থাকায় এক্্র-রে মেশিনটি সচল না অচল অবস্থায় তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এদিকে প্রায় ৪লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার কথা বিবেচনা করে হাসপাতালে এক্্র-রে মেশিনটি সচল করতে টেকনিশিয়ান নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন উপজেলাবাসী।
খবর৭১/ইঃ