র‍্যাব-পুলিশ নিয়ে চকবাজারে রাসায়নিক গুদাম অপসারণ

0
240

খবর৭১ঃ তৃতীয় দিনের মতো আবাসিক ভবনের নিচে ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক গুদাম ও কারখানা বন্ধে অভিযানে নেমেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স।

রোববার বেলা ১২টার দিকে র‍্যাব-পুলিশ নিয়ে চকবাজারের চুড়িহাট্টার নন্দকুমার দত্ত লেনে অভিযান শুরু করে।

অভিযানের নেতৃত্বে আছেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ খান।

এর আগে শনিবার বাংলাদেশ প্লাস্টিক ব্যবসায়ী সমিতি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পুরান ঢাকায় আবাসিক ভবনে রাসায়নিক গুদাম উচ্ছেদ বন্ধ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পরে ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের নেতৃত্বে ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

এ সময় মেয়র বলেন, ‘কোনো রক্তচক্ষুর পরোয়া করা হবে না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএসসিসিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত রয়েছে।’

টাস্কফোর্স কমিটি শনিবার সকালে পুরান ঢাকার বকশীবাজার, শহীদ নগর ও বউবাজারে অভিযানে যায়। বকশীবাজারের ১৭ জয়চন্দ্র নাগ রোডে বাধার মুখে পড়েন তারা।

বাধায় নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি ও এফবিসিসিআই পরিচালক আবু মোতালেব। ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরভবনে ফিরে বিষয়টি মেয়রকে জানান।

ঘটনা শুনে ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন অভিযানে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এ সংবাদে বকশীবাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে অবস্থান নেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক ব্যবসায়ী সমিতি অফিসের সামনে।

মেয়র অভিযানস্থলে এলে সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি বড় জমায়েত মেয়রের সঙ্গে দেখা করে। এ সময় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়দের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয় মেয়রের সফরসঙ্গীদের।

পরে বেলা সোয়া ৩টায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মেয়র। ব্যবসায়ীরা প্রতিশ্রুতি দেন আর বাধা না দেয়ার। আলোচনা শেষে গুদাম উচ্ছেদের ঘোষণা দেন মেয়র।

সাঈদ খোকন বলেন, ‘সকালে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। যার কারণে অবৈধ কারখানা অপসারণে টিম বাধার সম্মুখীন হয়। এটি মহানগর বিএনপির একজন নেতার কারণে হয়েছিল।

তার বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো আমি আসার পর থেমেছে। আমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। এখন আর কোনো সমস্যা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের নগর প্রশাসনের কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে তাদের পূর্ণ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছি। তারা আমার ডাকে সাড়া দিয়েছেন।’

সাঈদ খোকন বলেন, ‘তারা (বিএনপি নেতা ও সহযোগী) প্রচার করে, আমাদের টিম জোর-জবরদস্তি করছে, বাসাবাড়ি সিলগালা করছে, মালামাল ফেলে দিচ্ছে।

যে কারণে বাধার সৃষ্টি হয়। কিন্তু আমাদের টিম এমন কাজ করেনি। শুধু যেসব বাসাবাড়িতে কেমিক্যাল গোডাউন আছে, সেসব বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হচ্ছে, যাতে তারা গোডাউনের মালামাল নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান।’

২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে এ পর্যন্ত ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here