অসময়ে ঝড়-বৃষ্টি, সবজির বাজার চড়া

0
386

খবর৭১ঃঅসময়ে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির কারণে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজি ও পেঁয়াজের দাম। সরবরাহ কমায় সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সবধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম।
শুক্রবার রাজধানীর পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ, রায় সাহেব বাজার, ঠাঁটারী বাজার, সেগুন বাগিচাসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টিতে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। বাজার ও মান ভেদে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ টাকা। বেগুন প্রতিকেজি ৫০ টাকা আগে ছিল ৩০ টাকা, ধনেপাতা প্রতিকেজি ৬০ টাকা আগে ছিল ৫০ টাকা, প্রতিকেজি শিম ৩০ টাকা আগে ছিল ২০ টাকা, ফুলকপি প্রতিপিস ৩০ টাকা আগে বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ টাকা আগে ছিল ২০ টাকা পিস। এছাড়া প্রতি কেজি করলা ৮০টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০টাকা, লাউ প্রতিপিস ৫০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা কেজি এবং মুলা ২৫ টাকা, নতুন আলু ১৫ টাকা, কাঁচামরিচের ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা আঁটি।

অন্যদিকে কেজিতে দেশি পেঁয়াজ ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২০ থেকে ২৫ টাকায়। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা জানান, আর মাত্র ১০-১২ দিন পর নতুন পেঁয়াজ ওঠার কথা। কিন্তু চারদিনের বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে গেছে। এতে নতুন পেঁয়াজের উৎপাদন কম হবে। যা দামে প্রভাব ফেলবে। একই সঙ্গে বৈরী আবহাওয়ার জন্য বাজারে সরবরাহ কমায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজ কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা।

এদিকে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৪৫ টাকায়। লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি ২০০ টাকা যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকায়। কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পিস। দেশি মুরগি প্রতিকেজি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। যা আগে বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। এছাড়া আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা ও রসুন। প্রতিকেজি দেশি ও আমদানিকৃত আদা ১০০ টাকা। আমদানিকৃত প্রতিকেজি রসুন ১০০ টাকা আর দেশি ৯০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মুরগির দাম বাড়লেও বাজারে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস আগের মতোই ৪৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ৬৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বেড়েছে সবধরনের ডিমের দাম। মুরগির ডিম প্রতি ডজনে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ টাকা। হাঁসের ডিম ১৫৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৭০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ছোট বড় সব মাছ। রুই মাছ বাজারে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজি। পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। টেংরা মাছ প্রতিকেজি ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা। প্রতিকেজি তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা, বাইম ৬০০ টাকা, পোয়া ৫০০ টাকা, মলা ৪০০ টাকা, খল্লা ৩৫০ টাকা, সোল ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে ইলিশের দাম বেড়েছে হালিতে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা।

অপরিবর্তিত রয়েছে চাল ও অন্যান্য মুদিপণ্যের দাম। বাজারে প্রতিকেজি নাজির নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মিনিকেট চাল ৫৫ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা প্রতিকেজি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বিআর ২৮ নম্বর ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া খোলা আটা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা, চিনি আমদানিকৃত ৫০, প্রতিকেজি ডাল ৪০ থেকে ৯০, লবণ ৩০ থেকে ৩৫, পোলাউর চাল ৯০ থেকে ৯৫। খোলা সোয়াবিন তেল ৮৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকায়।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here