রানের পাহাড়ে চাপা পড়লো বাংলাদেশ

0
342

খবর৭১ঃহ্যামিল্টনের সেডন পার্কে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বিশাল লিডের পথে স্বাগতিকরা। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় দিনশেষে কিউইদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৫১ রান। এতে নিউজিল্যান্ড এগিয়ে আছে ২১৭ রানে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের দেওয়া ২৩৪ রানের বিপরীতে আগের দিনে বিনা উইকেটে ৮৬ রান করার পর দ্বিতীয় দিন শেষে কিউইদের লিড ২১৭ রান। দিন শেষে উইকেটে অপরাজিত আছেন ৯৩ রান করা শেন উইলিয়ামসন। তার সঙ্গে তৃতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে নামবেন নেইল ওয়েগনার (১)।

শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে আগের দিনের ৮৬ রানের সঙ্গে রানের চাকা ঘুরাতে থাকেন দুই ওপেনার জিত রাভাল ও টম ল্যাথাম। দুজনের জুটিতে এসেছে ২৫৪ রান। কিন্তু এই জুটি ভাঙতে পারতো ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই। টেস্ট ক্রিকেটে নিজের দ্বিতীয় বলেই অভিষিক্ত এবাদত হোসেন স্লিপে ক্যাচ বানিয়েছিলেন কিউই ওপেনার টম লাথামকে। সেটি রাখতে পারেননি সৌম্য সরকার। জীবন পেয়ে যান লাথাম, অক্ষত থাকে উদ্বোধনী জুটি। অবশেষে ৬৯.৫ ওভার শেষে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই জিত রাভালকে ফিরিয়ে দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

এরপর আবারো দাঁড়িয়ে যায় লাথাম-উইলিয়ামসন জুটি। এই দুজনের জুটি থেকে আসে ৭৯ রান। দলীয় ৩৩৩ রানের মাথায় সৌম্যের বলে মিথুনের ক্যাচ হয়ে ফিরলেন সেঞ্চুরিয়ান লাথাম। ব্যক্তিগত ১৬১ রানে লাথামকে ফিরিয়ে স্বস্তির উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ।

নিউজিল্যান্ড শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানলেন পার্টটাইম বোলার সৌম্য সরকার। এলবির ফাঁদে ফেলে ফেরালেন রস টেইলরকে। মাত্র ৪ রানেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। এরপর হেনরি নিকোলসকে সঙ্গে করে চতুর্থ উইকেটে ১০০ রানের জুটি গড়েন শেন উইলিয়ামসন। তবে দিনের শেষ দিকে সেই উইকেটে হানা দেন মিরাজ। দলীয় ৪৪৯ রানে ব্যক্তিগত ৫৩ রানে নিকোলসকে বোল্ড করে ফেরান ডানহাতি এই স্পিনার।

এরপর নেইল ওয়েগনারকে সঙ্গে করে ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ওয়েগনার অপরাজিত থাকেন ১ রানে।

বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নেন সৌম্য। এছাড়াও মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজ একটি করে উইকেট পান।

সেডন পার্কে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। শুরুটা শুভ হয় টাইগারদের। উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও সাদমান ইসলাম। ৩২ বলে ২৪ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন সাদমান। এতে ভাঙে ৫৭ রানের ওপেনিং জুটি।

এরপর নতুন ব্যাটসম্যান মুমিনুল হককে দর্শক বানিয়ে শটের রোমাঞ্চ দেখান তামিম। ১৩তম ওভারের প্রথম তিন বলে বোল্টকে টানা তিনটি চার মেরে মাত্র ৩৭ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন এই ওপেনার।

তামিম ছাড়া উল্লেখ করার মতো রান আসে কেবল লিটন দাস (২৯) ও সাদমানের (২৪) ব্যাট থেকে। দলীয় ১২১ রানে ওয়েগনারের বলে ওয়াটলিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১২ রানে ফেরেন মুমিনুল। তবে মুমিনুল ফিরলেও ৮৬ রানে অপরাজিত থেকে লাঞ্চ বিরতিতে যান তামিম।

বিরতি থেকে ফিরে মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে করে এগুতে থাকেন তিনি। দুর্দান্ত ব্যাট করে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম ইকবাল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঝড়ো ব্যাট চালিয়ে বরাবর ১০০ বলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে চলে যান এই ড্যাশিং ওপেনার।

তামিম শতক তুলে নিলেও মিঠুন (৮) ও সৌম্য (১) দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে সাজঘরে ফেরেন। এরপর তামিমের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে আসেন দলপতি মাহমুদউল্লাহ। তাকে সঙ্গে করে এগুতে থাকেন তামিম। তবে দলীয় ১৮০ রানে উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। গ্রান্ডহোমের বলে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১২৮ বলে ২১ চার ও ১ ছক্কায় ১২৬ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। মাহমুদউল্লাহ ২২, লিটন দাস ২৯, মেহেদি মিরাজ ১০, আবু জায়েদ ২, খালেদ আহমেদ ০ এবং এবাদত হোসেন ০ রান করেন।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে একাই ৫ উইকেট তুলে নেন ওয়াগনার। তিনটি নেন টিম সাউদি। আর একটি করে নেন ট্রেন্ট বোল্ট ও গ্রান্টহোম।

খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here