কাজী শাহ্ আলম,
হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে বুড়িমারী-ঢাকা মহাসড়কের পাশ ঘেষে উপজেলা শহরে প্রকাশ্য অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, রহস্য জনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছে। বুড়িমারী-ঢাকা মহাসড়ক, ডাক বাংলো, জামে মসজিদ, শহীদ মিনারসহ অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ী হুমকির মুখে পড়েছে।
জানাগেছে, হাতীবান্ধা মুল শহর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে জেলা পরিষদের একটি পুকুর রয়েছে। সে পুকুরটির ভাঙ্গনের কারনে পশ্চিম পাশে বুড়িমারী স্থল বন্দর মহাসড়কটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এ অবস্থায় পুকরের ৪ পাশে পাইলিং নিমার্ণ ও পুকুর খননের কাজ করছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। পুকুর খনন ও মাটি ভরাটের জন্য ভেকু মেশিন দিয়ে খননের নিয়ম থাকলেও তা না করে অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে জম-জামাট বালু ব্যবসা করছে একটি সিন্ডিকেট। বোমা মেশিন দিয়ে মাটির ৭০-১০০ ফিট নিচে থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে পুকুরে গা ঘেষে বুড়িমারী স্থল বন্দর মহাসড়ক, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, নির্মাণাধীন ডাকবাংলো, জামে মসজিদসহ অসংখ্যা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন দেখেও রহস্য জনক কারণে না দেখার ভান করে চলছে। ফলে যে কোনো মুহুর্তে¡ আরও ভেঙ্গে যেতে পারে বুড়িমারী স্থল বন্দর মহাসড়ক।
উক্ত বোমা মেশিনের মালিক আমিনুর রহমান জানান, বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনে জেলা প্রশাসকের অনুমতি রয়েছে। তাই তিনি বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। তবে তিনি বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতি পত্র দেখাতে পারেনি।
জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, বোমা মেশিন দিয়ে বালু বা পাথর উত্তোলন সম্পুর্ণ ভাবে অবৈধ। বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি।
শনিবার হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন জানান, বোমা মেশিন বন্ধের জন্য উক্ত কাজের বাস্তবায়নকারী সংস্থা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বিভাগকে ইতোমধ্যে নিদের্শ দেয়া হয়েছে।
খবর৭১/ইঃ