খবর৭১ঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেরর ভোট গ্রহণ হচ্ছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে সশস্ত্রবাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান) সদস্যদের মাঠে নামানোর পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচনের আগে ও পরে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবে। এমনকি ভোটের পরেও তারা দুইদিন মাঠে অবস্থান করবেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কমিশনের বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসি সূত্র জানায়, আগামী ২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোনোদিন মাঠে নামবে সেনাবাহিনী। তবে এর আগে ১৫ ডিসেম্বর থেকে পরিস্থিতি অবলোকন (রেকি) করবেন তারা। সেনাবাহিনীর প্রতিটি টিমের সঙ্গে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দেয়া এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে সারাদেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণে পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকার সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধের জন্য ভোটগ্রহণের দুইদিন পূর্ব থেকে ভোটগ্রহণের দুইদিন পর পর্যন্ত অর্থাৎ ২৮-৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন। সেই সাথে ২৪-২৬ ডিসেম্বর হতে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মোতায়েনকৃত স্বশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, ব্যাটলিয়ান আনসারের মোবাইল/ স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজন হবে।
অন্যবারের মতো এবার সশস্ত্রবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করবে ইসি।
খবর৭১/এসঃ