নবান্নে মেতেছে উঠেছে নড়াইলের ডিসি ও এসপি

0
338

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) ২৭৪: নবান্নে মেতেছে নড়াইলের ডিসি ও এসপি, কুয়াশার চাদরে এখনো ঢাকেনি শহর। কৃষক-কৃষাণীর সাথে সদর থানাধীন গারোচোরার মাঠে কৃষক বেশে ধান কাটার মাধ্যমে নবান্ন উৎসব বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) ২০১৮ এর শুভ উদ্বোধন করলেন নড়াইলের ডিসি আনজুমান আরা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, (পিপিএম), এখনো শীতের আমেজে জবুথবু হয়নি শহরের মানুষ। কিন্তু গাঁয়ের ভোরের মেঠাপথে এখন কুয়াশার হিমশীতল পরশ। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, হেমন্তের শীতের পরশটা উপভোগ্য হয়ে ওঠে নবান্নেই। তাই নতুন ধান ঘরে ওঠার আনন্দে কৃষাণ-কৃষাণিরা উদ্বেলিত হয়েছে আনন্দের বাঁধভাঙা জোয়ারে। এ দিনের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে গাঁয়ের কৃষাণ-কৃষাণীরা। নতুন ধানে হবে নবান্ন। পাকা ধানের সোনালী মাঠে কাস্তে হাতে কৃষকের আনাগোনা। নতুন ধানে পিঠা পুলি, পায়েস, মুড়িমুড়কি আর মোয়াসহ নানা খাবার তৈরি হবে এ দিনে। বাড়িতে বাড়িতে মেয়ে জামাইসহ আমন্ত্রিত হবেন আত্মীয়রা। তাই ব্যস্ততা বেড়েছে নড়াইলের বিভিন্ন এলাকায় মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটা মাড়াই করা ধুম। মাঠজুড়ে সোনালি ধান। আমন ধানের সোঁদা গন্ধে ভরে উঠছে আবহমান গ্রামীণ জনপদ। কুয়াশা ঘেরা ভোর সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছে কৃষক-কৃষাণী। কেউ ধান কাটছেন, কেউ আঁটি বাঁধছেন।কেউ কেউ ধান নিয়ে যাচ্ছেন বাড়ির উঠানে।এরপর কৃষকের আঙিনায় ধানের ছড়াছড়ি, গোলাভরা ধান এবং ধান থেকে চাল। দম ফেলার ফুরসত নেই। মহাব্যস্ততায় দিন কাটছে কৃষকদের। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে যেন নবান্নের আমেজ ছড়িয়ে পড়ছে। ঢেঁকিতে ধান ভেনে আটা করা, আর সেটা দিয়েই তৈরি হবে পিঠা পুলি। আমন্ত্রণ জানানো হবে আত্মীয় স্বজনদের।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here