একমাস ধরে ভাঙ্গা সায়েড়া লক্ষীখালী ব্রীজ, ঝুকি নিয়ে পার হচ্ছে প্রায় ৭/৮ গ্রামের মানুষ

0
236

হেদায়েত হোসাইন, বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
গায়েড়া লক্ষিখালী ব্রিজটি একমাস ধরে    ভাঙ্গা,  বিকল্প ব্যাবস্থার জন্য কোন খেয়াল নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের । সম্প্রতি পূর্ব সায়েড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর কোমল মতি এক শিক্ষার্থী ওই ব্রিজ থেকে পড়ে গুরুতর জখম হয়েছে। আহত শিশুটি তার ডান পায়ে ৮ টি সেলাই নিয়ে এখন চিকিৎসায় আছে। বাগেরহাটের সদর উপজেলার ষাটগুম্বুজ ইউনিয়নের পূর্ব সায়েড়া গ্রামের প্রাবাহমান নদীর উপর নির্মিত লক্ষীখালী ব্রীজটি দীর্ঘ এক মাস আগে ভেঙ্গে যাওয়ায় চড়ম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে আশপাশের ৭/৮ টি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। পারাপারের বিকল্পকোন ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে ভাঙ্গা ব্রীজের উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছেন তারা। আর এ ফলে প্রায় প্রতিদিন ছোট-খাট র্দূঘটনার শিকার হচ্ছে ঝুকিপূর্ণ এ ব্রীজটি দিয়ে যাতায়াত করা স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসি। এরই মধ্যে গত ১৫ দিন আগে ভাঙ্গা ব্রীজ থেকে পড়ে গুরুত্বর আহত হয় পূর্ব সায়েড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেনীর ছাত্র তামিম শেখ। এমন প্রতিস্থিতিতে স্থানীয়রা ঝুকি নিয়ে তাদের ছেলে-মেয়ের স্কুলে পাঠাতে অনিহা প্রকাশ করছেন। তাই দ্রুত লক্ষীখালী নদীর উপর দিয়ে বিকল্প যাতায়েত ব্যবস্থা নির্মান করা দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসি।
শনিবার সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙ্গা ব্রীজটির দু’পাশে রয়েছে পূর্ব সায়েড়া, পশ্চিম সাড়েয়া, চাকশ্রী, দয়লা ও গিলাতলা আলী পুর , কাশীপুর, গোবিন্দপুরসহ ৭/৮টি গ্রাম। আর ব্রীজটির দু’পাশে থাকা পূর্ব সায়েড়া ও পশ্চিম সায়েড়া গ্রামে রয়েছে পূর্ব সায়েড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সায়েড়া মধুদিয়া স্কুল এন্ড কলেজ ও ধোপাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাকশ্রি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আল মদিনা গার্ডেন। প্রতিদিন এ ব্রীজটি দিয়ে যাতায়াত করতে হয়ে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের। আর ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে র্দূঘটনার শংকায় থাকা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমল মতি ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে অনিহা প্রকাশ করছেন। এছাড়া এসব গ্রামের বাসিন্দাদের অধিকাংশ মৎস্য চাষের উপর নিভরশীল। আগে তারা এ ব্রীজটি ব্যবহার করে  বারাকপুরও ফলতিা বাজারে মাছ বেচা-কেনার জন্য সহজে যাতায়াত করতো। ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে তাদের বাধ্য হয়ে প্রায় ৮-১০ কিলোমিটার ঘুরে এ সব বাজারে যেতে হচ্ছে এখন। ব্রীজ থেকে পড়ে গুরুত্বর আহত স্কুল ছাত্র তামিম শেখের মা তাসলিমা বেগম বলেন, আমার ছেলেটি পূর্ব সায়েড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেনীর ছাত্র। গত ১৫ দিন আগে স্কুলে যাবার পথে ভাঙ্গা ব্রীজ থেকে সে নদীতে পড়ে যায়। এসময় ব্রীজের ভাঙ্গা রডে তার পায়ের বেশ খানিকটা অংশ কেটে যায় এবং সে মাথায় আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারিয়ে গুরুত্বর আহত হয়। পরবর্তিতে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে তার পায়ে ৭টি সেলাই দিতে হয়।
পূর্ব সায়েড়া গ্রামের বাসিন্দা ব্রাক কর্মী আকলিমা বেগম বলেন, কজের ক্ষেত্রে প্রতিদিন এ ব্রীজটি দিয়ে আমাকে পশ্চিম সায়েড়া গ্রামে যেতে হয়। ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে বাধ্য হয়ে ঝুকি নিয়ে আমাকে নদী পার হতে হয়। অনেক সময় ব্রীজের ভাঙ্গা অংশে বেড়িয়ে থাকা রডে কেটে গিয়ে আহত হতে হয়।
স্থানীয় মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী সিদ্দিক আলী শেখ বলেন, আগে আমরা ঘের থেকে মাছ ধরে প্রতিদিন এ ব্রীজটি দিয়ে নসিমন বা মিনি ট্রাক নিয়ে চাকশ্রী বাজারে যেতাম। এখন ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে প্রায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার ঘুওে মাছ নিয়ে আমাদের চাকশ্রী বাজারে যেতে হচ্ছে। যার ফলে আমাদের অর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি অতিরিক্ত সময় নষ্ট হচ্ছে।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here