অসহায় খাতুন পেল নিরাপদ আশ্রয়

0
373

মো:দবিরুল ইসলাম (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি:

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার উত্তর পাড়া এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাসকারী মোছাঃ খাতুনের অসহায়ত্ব জীবন যাপনের চিত্র দেখে স্থানীয় সামাজিক ও সংবাদকর্মী মুহাম্মদ রনি মিয়াজী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খাতুনের নিরাপদ আশ্রয় তৈরীর সহযোগীতা চেয়ে প্রথম বিষয়টি প্রকাশ করেন। এর পরই ছিন্নমূল এই নারীর বিষয়টি অনেকের নজরে পড়ে।

খাতুনের ভাঙ্গা ঘরে ঝড়, বৃষ্টি শীতে, কোন রকম ভাবে রাত্রি যাপনের বিষয়টি ফেইসবুকে তুলে ধরার পর তার জন্য
নিরাপদ আশ্রয় তৈরির লক্ষ্যে এর সাথে যুক্ত হোন অপর দুই স্থানীয় সংবাদকর্মী মোঃ রাহাত হাসান রনি ও নাজমুস সাকিব মুন। এর পর থেকে তিন জন সংবাদকর্মী খাতুনের পাশে দাঁড়াতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানায়। তাদের অনুরোধে অল্প কিছু
দিনের মধ্যে অনেকেই সহযোগীতার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ঘর নির্মাণের জন্য ঢেউ টিন, কংক্রিটের পিলার, টিউবওয়েল, স্যানিটারি ল্যাট্রিনসহ নগদ অর্থ সহায়তা সংগ্রহ করা হয়।
স্বামী মারা যাওয়ার পর মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত খাতুন দীর্ঘ দিন থেকে
একমাত্র ছেলে খোকনকে নিয়ে তার
উকিল পিতা খয়রুল ইসলামের জমিতেই
অস্থায়ীভাবে বাস করছিলেন। তবে ওই
জমির মালিক ওই তিন সংবাদ কর্মী ও
স্থানীয় সকলের অনুরোধে খয়রুল
স্থায়ীভাবে ঘর নির্মাণের জন্য
প্রয়োজনীয় নিষ্কণ্টক জমি প্রদান
করেন।

খাতুনের কষ্টে দিন রাত কাটানো দৃশ্য ফেসবুকে দেখে প্রথমে ঐ এলাকার বাসিন্দা দেবীগঞ্জ সাব রেজিস্টার দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম সরকার ও সরকারী কর্মকর্তা মোঃ শাহিদুর রহমান লাবু নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগীতা করেন।

সামাজিক যোগোযোগ ফেসবুকে খাতুনের অসহায়ত্বের জীবন যাপনের চিত্র দেখে দেবীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাসনাৎ জামিল চৌধুরী জর্জ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আতিক এস বি সাত্তার খাতুনের বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং তার ঘর নির্মাণের জন্য আর্থিক অনুদান তুলে দেন এবং দেবীগঞ্জের শেখ ব্রাদার্স এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ আলমগীর হোসেন ঢেউ টিন ও কংক্রিট পিলার, দেবীগঞ্জ উপজেলা
আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক
মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক টিউবওয়েল ও
স্যানেটারী এবং উপজেলাধীন দন্ডপাল
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জামেদুল ইসলাম
খাতুনের থাকার জন্য খাট ও আলনা প্রদান
করেন খাতুনকে ঐ তিন সংবাদকর্মীর মাধ্যমে।

চলতি মাসের গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া গৃহ নির্মাণ কাজ সপ্তাহ খানেকের মধ্যে শেষ হয়েছে। আজ খাতুন ও তার একমাত্র
ছেলে নতুন ঘরে উঠবে। ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও খাতুনের ১৫ বছর বয়সী একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলের এখনও স্থায়ী আয়ের কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় পরিবারটির অনিশ্চয়তা এখনও রয়েই গেছে। ছেলেটির আয় নিশ্চিত করতে এবং স্থায়ী কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য সকলের সহযোগীতা চেয়েছেন ছেলেটির অভিভাবক খয়রুল ইসলাম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here