আরিফুল ইসলাম।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, চিলমারী নদী বন্দর চালু করণ প্রধানমন্ত্রীর একটি স্বপ্ন। তিনি প্রতিটি স্বপ্নই বাস্তবায়ন করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্রুততার সাথে চিলমারী নৌ-বন্দরের কাজ শেষ করতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা অনুযায়ী প্রকল্পের প্রস্তাবনা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নদে খনন সার্ভের কাজ শেষ হয়েছে। এখন অর্থ বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে। আশা করছি আগামী ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী-মার্চে চিলমারী নৌবন্দর চালু করা হবে। শনিবার বেলা ২টায় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা পরিষদ হলরুমে চিলমারী নদী-বন্দর নির্মাণ সর্ম্পকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে নেপালের সাথে আমাদের বাস যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। যেটা আগে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু শেখ হাসিনার সময় হলো। বিশেষ করে মেঘালয়, আসামের পণ্য সোনাহাটস্থল বন্দর হয়ে চিলমারী নদী বন্দর পথে মংলা এবং পায়রা বন্দর যাবে। এতে করে চিলমারী বন্দরকে ঘিরে চিলমারী’র ব্যবসা বাণিজ্যে ব্যাপক উন্নতি ঘটবে। মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী আরো বলেন, নদীবন্দর ঘিরে বিআইডব্লিউটিএ আর জেলা পরিষদের মধ্যে ঘাট ইজারা নিয়ে যে দ্বন্দ রয়েছে তার নিরসন কল্পে যা যা করা দরকার তা করা হবে। প্রয়োজন বোধে জেলা পরিষদের জন্য আলাদা বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করবেন। চিলমারী নদী-বন্দর নির্মাণ সর্ম্পকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় সভায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, পরিচালক বন্দর (বিআইডব্লিউটিএ) মো. শফিকুল হক, বংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মো. জাফর আলী, কুড়িগ্রাম জেলা আ’লীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মন্ডল।
প্রকল্প প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন, সৈয়দ মনোয়ার হোসেন।
খবর ৭১/ইঃ