খবর৭১: অবশেষে আলোর মুখ দেখছে লালদিয়া কন্টেইনার টার্মিনাল। জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের লালদিয়া কন্টেনার টার্মিনাল পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপেই নির্মিত হবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথভাবে এই টার্মিনাল নির্মাণে ইতিমধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এদের মধ্যে যোগ্য প্রতিষ্ঠান চিহ্নিতকরণের জন্য বন্দর ব্যবহারকারীসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত গ্রহণ করা হবে। আজ রবিবার এ ব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষ জরুরি একটি বৈঠক আহ্বান করেছে।
উল্লেখ্য, লালদিয়া টার্মিনাল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। চট্টগ্রাম বন্দরের ভবিষ্যত চাহিদা মোকাবেলা এবং সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই টার্মিনাল নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে টার্মিনালটি নির্মাণ না করে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) প্রকল্প দুই বছর আগে সরকার অনুমোদন দেয়। নানা প্রক্রিয়া শেষে গত জুন মাসে পিপিপিতে টার্মিনালটি নির্মাণের জন্য রিকুয়েস্ট ফর কোয়ালিফিকেশন (আরএফকিউ) বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে দুবাইভিত্তিক ডিপি ওয়ার্ল্ড, ভারতীয় অপারেটর আদানি পোর্টস এন্ড স্পেশাল ইকোনোমিক জোন লিমিটেড (এপিএসইজেড), ফ্রান্সের ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড, চীনের চায়না হারবার এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (ইতোমধ্যে কালো তালিকাভুক্ত) এবং সিঙ্গাপুরের গ্লোবাল পোর্ট সার্ভিসেস আগ্রহ দেখিয়েছে। এসব কোম্পানিগর মধ্যে যে কোন একটির সাথে পিপিপি ভিত্তিতে লালদিয়া টার্মিনাল নির্মিত হবে। তবে কি ধরনের শর্তে প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং পরবর্তীতে পরিচালিত হবে তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
বন্দর সূত্র জানিয়েছে, ১৪ এবং ১৫ নম্বর খালের মধ্যবর্তী অন্তত ৭৫ একর জায়গায় লালদিয়া টার্মিনাল নির্মিত হবে। আগামী ২০২০ সালের ডিসেম্বরে লালদিয়া টার্মিনালে জাহাজ নোঙর করতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ । আর এই লক্ষ্য সামনে নিয়েই বন্দর কর্তৃপক্ষ অগ্রসর হচ্ছে বলেও শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান। লালদিয়া টার্মিনাল ২৫ বছরের জন্য বিদেশী অপারেটর পরিচালনা করবে এমন শর্ত রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করে বন্দরের পদস্থ কর্মকর্তারা বলেছেন, তারাই ইকুইপমেন্ট আনবে। তারাই কন্টেনার হ্যান্ডলিং করবে। ২৫ বছর পর তারা ইকুইপমেন্টসহ টার্মিনালটি বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে চলে যাবে। লালদিয়া টার্মিনালের ব্যাপারে আজ বন্দর প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিস্তারিত আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বন্দর ব্যবহারকারীদের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
বন্দরের একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আদানি এই বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব পেতে পারে।
খবর৭১/জি: