দরজায় কড়া নাড়ছে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ

0
495

খবর ৭১: মাঘের শীতে বাঘও ভয় পায়- এমন কথা প্রচলন রয়েছে। কিন্তু শীতের চোরা বাতাস যদি ঝড়ো হাওয়ার মতো বইতে শুরু করে তখন যে কোনো মানুষের হাড়ও কাঁপতে থাকে। এই হাড় কাঁপানো শৈত্যপ্রবাহ এই কিছুদিন আগে বয়ে গেল বাংলাদেশজুড়ে। শীতের তীব্রতা যে কি তা সবাই হাড়ে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। একেবার দেশকে কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে। আর উত্তরবঙ্গের যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল তা গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে খোদ আবহাওয়া অফিস জাানয়েছে।

সেই আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আভাস দিলেন, আজকালের মধ্যে আবার সে ধরনের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। এটি কয়েকদিন একটানা থাকতে পারে। মাঘের প্রায় মাঝামাঝি সময়ে কনকনে শীত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ শীতের বাতাস পুরো দেশটিকে আবার কাঁপিয়ে দিতে পারে- এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ। তবে তিনি এর সঙ্গে যে বিষয়টি যোগ করেছেন তা হলো, এই শৈত্যপ্রবাহ দেশের কোনো কোনো স্থানে মাঝারি, আবার কোনো কোনো স্থানে তীব্রতা নিয়ে প্রবাহিত হবে।

বিদেশি একটি আবহাওয়া সংস্থা বেশ কিছুদিন আভাস দিয়েছিল, পৃথিবীর কোনো কোনো দেশে শীতের প্রকোপ বাড়বে। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা হয়। সুইজারল্যান্ডের রাজধানী দাভোসে শুরু হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমি ফোরামে’র আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এই সম্মেলনের বেশ কয়েকদিনে আগে এই আবহাওয়া সংস্থাটি সেখানকার আবহাওয়া সম্পর্কে একটি র্পূবাভাস দিয়েছিল। সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী সম্মেলন শুরুর দিন থেকে সেখানে বরফ পড়তে থাকে। সেখানকার বিমানবন্দর থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্মেলন স্থানে আসতে সময় লেগেছে প্রায় চারঘণ্টা। অথচ সেই পথ ছিল মাত্র আধঘণ্টার। বিভিন্ন উপায়ে বরফ সরিয়ে সরিয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানদের আসতে হয়েছে বলে বিদেশি সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে।

সেই সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী আজ কিংবা কাল থেকে একটি শৈত্যপ্রবাহ পঞ্চগড়-দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ শুরু করবে। এরপর থেকে অর্থাৎ ২৭ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুরো দেশে তীব্র ঠাণ্ডা আবহাওয়া বিরাজ করবে। এতে কোনো কোনো জেলায় রাতের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমে আসতে পারে। বিশেষ করে কক্সবাজার, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলায় এই তাপমাত্রা হতে পারে বলে আভাস দেয়া হয়েছে।

এদিকে, বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজকালের মধ্যেই শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। শুধু তাই নয়, আসছে শৈত্যপ্রবাহ গতবারের চেয়েও ভয়াবহ ঠাণ্ডা হতে পারে। আর এ ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে এর প্রভাব পড়বে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা গত ৩০ বছরের অর্থাৎ ১৯৮১ থেকে ২০১০ সালের এই সময়ের গড় তাপমাত্রার চেয়ে ৫ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম থাকবে।

আজ থেকেই আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আর ঘন কুয়াশা তো থাকবেই। তবে সব স্থানে নয়। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ইতোমধ্যে রাজশাহী, পাবনা, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া ও বরিশাল জেলায় কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here