বাংলাদেশের মানুষ চায় না, বারবার ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটুক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ। তিনি বলেন, ‘তারা এমন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষা করে, যেখানে সবার সমান ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে। তাই তারা জুলাই অভ্যুত্থানে প্রাণের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ।
গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক মতপার্থক্যকে সাধারণ প্রক্রিয়া হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি রাজনৈতিক দল অবশ্যই জনগণের কাছে যাবে। তবে কিছু বিষয়ে সবাই ছাড় দেবে বলে তারা আশা করেন। সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি দৃঢ় থাকা জরুরি।’
জুলাই-আগস্টে মানুষ ক্ষোভের সঙ্গে প্রত্যাশারও বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে মন্তব্য করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘মানুষ এমন একটি দেশ চায়, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। ঐকমত্য কমিশন আলোচনার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক কাঠামোর পথরেখা তৈরির কাজ করছে। এই উদ্যোগের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন।’
ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।
বাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন দলটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, কেন্দ্রীয় ফোরামের সদস্য নিখিল দাস, জনার্দন দত্ত নান্টু, শম্পা বসু, মনীষা চক্রবর্ত্তী, জুলফিকার আলী, আহসান হাবিব বুলবুল, খালেকুজ্জামান লিপন, আবু নাঈম খান বিপ্লব ও গাজীপুর জেলা কমিটির সদস্যসচিব রাহাত আহম্মেদ।