পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ধাওয়ায় সীমান্ত থেকে পিছু হটল ভারতীয় যুদ্ধবিমান

0
37

কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সামরিক উত্তেজনা চরমে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে আকাশসীমাতেও শুরু হয়েছে নজরদারি ও পাল্টা সেনা মোতায়েন, যা সংঘাতের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভি নিউজ জানিয়েছে, বুধবার (৩০ এপ্রিল) কাশ্মীর সীমান্তে ভারতীয় বিমান বাহিনীর চারটি রাফাল যুদ্ধবিমান টহল দিচ্ছিল। এ সময় পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান সেগুলোকে শনাক্ত করে ধাওয়া করেন। এতে ভারতীয় রাফাল যুদ্ধ বিমানগুলো সীমান্ত থেকে পালিয়ে যায়।

পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ) জানিয়েছে, ২৯ ও ৩০ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে লাইন অব কন্ট্রোলের (এলওসি) কাছে চারটি ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান টহল দিচ্ছিল। পিএএফ দ্রুত তাদের উপস্থিতি শনাক্ত করে এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়। এতে ভারতীয় বিমানগুলো পিছু হটে। খবর, দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের

পিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমানগুলো এলওসি সংলগ্ন আকাশসীমায় টহল দিচ্ছিল, তারা সীমান্ত লঙ্ঘন করেনি।

পাকিস্তানি নিরাপত্তা সংস্থার একটি সূত্র জানায়, ভারতীয় যুদ্ধবিমান শনাক্ত হতেই পিএএফ তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি নেয়। পরিস্থিতি বুঝে রাফালগুলো দ্রুত সরে যায়।

এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার সতর্ক করে বলেছিলেন, নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যে জানা গেছে, ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে সামরিক হামলা চালাতে পারে।

এ প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জোরালো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভারত যদি কোনো আগ্রাসন চালায়, তাহলে পাকিস্তান নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে ফোনালাপেও এ বার্তা দিয়েছেন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ জানান, যদি ভারত হামলা শুরু করে, আমরা প্রয়োজন হলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়েও ভাবতে দ্বিধা করব না।

এছাড়া, সরকারি বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান নিজেও সন্ত্রাসবাদের কারণে গভীর ক্ষতবিক্ষত হয়েছে এবং এ ধরনের সহিংসতার যন্ত্রণাকে গভীরভাবে উপলব্ধি করে। তাই আমরা ধৈর্য ও আঞ্চলিক শান্তির আহ্বান জানাচ্ছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here