প্রিয় দেশের স্বাধীনতা সবাই মেনে নিয়েছে: জামায়াত আমির

0
30

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তা সবাই মেনে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত উন্মুক্ত জনসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

ডা. শফিকুর বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৮ কোটি ফুলের বাগান। এই দেশে কে কোন ধর্মের তা বিবেচ্য নয়। সব ধর্মের মানুষ বাংলাদেশে গর্বিত নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার ভোগ করবে।’

দেশের স্বাধীনতার প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতিকে দুইভাগে বিভক্ত করা হলো। স্বাধীনতার পক্ষে এক দল বিপক্ষে আরেক দল।’

স্বাধীনতা যুদ্ধে কার কী ভূমিকা ছিল মানুষই তার সাক্ষী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশটা স্বাধীন হওয়ার পর কেউ কি বলেছে আমরা স্বাধীনতা মানি না, এমন কোনো দলের নাম কেউ জানেন? এমন কোনো দল নাই। সবাই প্রিয় দেশের স্বাধীনতা মেনে নিয়েছে। স্বেচ্ছায় গ্রহণ করেছে।’

সবাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার উন্নয়নে গর্বিত অংশীদার হতে চায় বলে মনে করেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘কিন্তু যখন দেশটাকে দুভাগে ভাগ করে প্রতিহিংসার সংস্কৃতি গড়ে তোলা হবে, তখন এই জাতি ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না। একটি বিভক্ত জাতি কখনও বিশ্বে মর্যাদার সঙ্গে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না’

জামায়াত আমির বলেন, ‘জাতিকে বিভক্ত করার স্বার্থে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ৫৪ বছর যাবত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলেছে। বিচারের নামে এই দলকে দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা যারা করেছিল তারাই আজ দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক সব অধিকার ক্ষুণ্ন করে জনগণকে গণতন্ত্রের স্বাদ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। চব্বিশের চেতনা বাংলাদেশে সমুন্নত রাখতে দলটি অঙ্গীকারবদ্ধ।’

হুঁশিয়ারি দিয়ে ডা. শফিকুর বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের দোসর পালিয়ে গিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে উসকানি দিচ্ছে। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার দায় উসকানিদাতাদের নিতে হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here