রাজের লাশও দেখতে চান না পরীমণি

0
27

গেল বছরে ঢাকাই চলচ্চিত্রের চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে। বিচ্ছেদের পরেও পরীর জীবন থেকে সরে যায়নি রাজ। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেই তাকে করা হচ্ছে রাজকে নিয়ে নানা প্রশ্ন। আর তাতে কিছু ক্ষুব্ধ পরীমনি জবাবও দেন দাঁতভাঙ্গা।

পরীমণি বর্তমানে কলকাতায় ‘ফেলু বক্সী’ শিরোনামে একটি সিনেমার শুটিং করছেন। সেখানেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এই অভিনেত্রী ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, রাজের প্রতি তার এতটাই অনাগ্রহ, যে প্রাক্তন স্বামীর মৃত্যুর পরও নাকি তাকে আর দেখতে যাবেন না তিনি।

ওই সাক্ষাৎকারে পরীমণিকে প্রশ্ন করা হয়- কখনও মনে হয়, ছেলের জন্য শরিফুলকে আরও একটা সুযোগ দেবেন? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, নামই মুখে আনতে চাই না। এত ঘৃণা ওর প্রতি। কোনোদিন মরে গেলেও দেখতে যাব না। যে মানুষটা বেঁচে আছে সে অন্য মানুষ, যে আমার কাছে ছিল, সে আরও আগে মরে গিয়েছিল। সেই মৃতদেহটা দেখেছি। আসলে মানুষটা আমার কাছে ‘ডেড’।

প্রেমে বিশ্বাসী কি না কিংবা আর কখনও বিয়ে করবেন কি না, এ বিষয়ে পরীমণি বলেন, নাহ। আর প্রেমে বিশ্বাস নেই। জীবন থেকে উড়ে গিয়েছে। আমার ছেলেই আমার জীবনের একমাত্র প্রেম। ওর হাসি, কান্না সব কিছুতেই ভালবাসা আছে। ওর আর আমার মাঝে কোনও সংশয় নেই। ও শুধু আমার।

পরীমণির মন খারাপ হয় কখন? উত্তরে তিনি বলেন, ছেলে যখন অসুস্থ হয়, তখন মনে হয়, জোরে একটা যদি চিৎকার দিতে পারতাম, যাতে হাসপাতালটা ফেটে যেত। ছেলে দুবার হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তখন ওইটুকু বাচ্চার হাতে স্যালাইন লাগানো।

পরীমণি বলেন, ওকে নিয়ে একা একা হাঁটছি। তখন মনে হয়েছিল, এই কষ্টটা আমার একার করার কথা ছিল না। তখন ওই মানুষটার ওপর আরও রাগ হয়। মানছি, বাবারা সব পারে না, কিন্তু দায় কি একা মায়ের?

নায়িকা বলেন, আমাকে যে রকম দেখতে লাগে, আমি সে রকমই। বাইরে ও ভিতরে। আমার মধ্যে কোনও ‘ফিল্টার’ নেই। আমার রাগটাও দেখা যায়। মনখারাপ দেখা যায়, কিছু পুষে রাখি না। এটা অনেকের সঙ্গে চলার জন্য হয়তো ভাল নয়। তবে আমার জীবনটা সিনেমা নয়, অত ‘ফিল্টার’ দিতে পারব না। আমাকে পোষালে ভালো, না পোষালে আরও ভালো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here