আফগানদের উড়িয়ে বিশাল জয় বাংলাদেশের

0
115

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। তবে আগফানরা যে ছেড়ে কথা বলবে না তা জানাই ছিল। লড়াইটাও দীর্ঘসময় ধরে হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। তবে শেষ পর্যন্ত বড় জয়ের স্বাদ পেয়েছে টাইগাররাই।

এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৮৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে পাঁচ উইকেটে ৩৩৪ রান করেছিল টাইগাররা। জবাবে ৪৪.৩ ওভারে ২৪৫ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা।

গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এই জয়ে সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ। বি গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তান হারলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই সুপার ফোরে যাবে টাইগাররা। তবে আফগানরা হারলে যেতে হবে হিসেব-নিকেশে।

আফগানদের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই উইকেটের স্বাদ পেতেন শরিফুল ইসলাম। তবে গুরবাজের বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের আপিলে সাড়া দেননি আম্পায়ার।

বাংলাদেশও রিভিউ না নেয়ায় বেঁচে যান গুরবাজ। তবে দুই বলের মাথায় শরিফুলের শিকারে পরিণত হন এ ওপেনার। ১ রানে ফেরেন তিনি। এরপর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ইব্রাহিম ও রহমত শাহ। দুজনে ক্রমেই ম্যাচ নিজেদের আয়ত্তে নিতে থাকেন।

তবে বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার আগেই স্বস্তি ফেরান তাসকিন। ৩৩ রান করা রহমতকে বোল্ড করে ৭৮ রানের জুটি ভাঙেন তিনি। এরপর শাহিদী ও ইব্রাহিমের ৫২ রানের জুটিতে ক্রমেই ম্যাচে ফের আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে আফগানরা।

ক্রমেই যখন চাপ বাড়ছিল, এমন সময় ত্রাতা হয়ে আসেন হাসান মাহমুদ। তার ডেলিভারিতে অনবদ্য এক ক্যাচ ধরে ইব্রাহিমকে ফেরাতে বড় ভূমিকা পালন করেন মুশফিকুর রহিম। ইব্রাহিম ফেরেন ৭৫ রানে।

চতুর্থ উইকেটে ৬২ রানের বড় জুটি গড়েন হাশমতউল্লাহ ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। ১৭ রান করা নাজিবকে বোল্ড করে ম্যাচ ফের নিজেদের দিকে করে নেন মিরাজ। কয়েক বল পরই ৫১ রান করা শাহিদীকে ফেরান শরিফুল।

বাকি সময়ে আসা যাওয়ার মাঝে ব্যস্ত ছিলেন আফগান ব্যাটাররা। মাঝে রশিদ খানের ২৪ রানের ক্যামিও শুধু হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন চারটি, শরিফুল তিনটি এবং হাসান ও মিরাজ একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাটিং স্বর্গে নাঈম শেখের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৬০ রান।

প্রথম পাওয়ার প্লে-র শেষ ডেলিভারিতে মুজিব উর রহমানের বলে বোল্ড হন নাঈম। ২৮ রানে এ ওপেনার ফেরার পর দ্রুত আরেকটি ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দুই বলের ব্যবধানে গুলবাদিন নাইবের শিকার হয়ে শুন্য রান সাজঘরে ফেরেন তাওহীদ হৃদয়।

তবে ইনিংসে আফগানদের জন্য স্বস্তি ছিল এতটুকুই। এরপর পাল্টা আক্রমণে এশিয়ার উঠতি শক্তিদের একেরপর এক হতাশা উপহার দেন মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তাদের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে রানের চাকা ঘুরতে থাকে দ্রুত।

ইনিংসের শেষ দিকে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন মিরাজ। এর আগে শান্তর সঙ্গে তিনি গড়েন ১৯৪ রানের অবিচ্ছিন্ন এক অনবদ্য জুটি। ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১১২ রানের ইনিংস খেলার পথে দ্বিতীবারের মতো সেঞ্চুরির স্বাদ পান তিনি।

মিরাজ মাঠ ছাড়ার একটু পরই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে শতকের দেখা পান শান্ত। এর মাধ্যমে পঞ্চমবারের মতো এক ইনিংসে দুই বাংলাদেশি ব্যাটার সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব দেখালেন। রান আউট হওয়ার আগে ১০৪ রান করেন শান্ত।

শেষদিকে মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের দুই ক্যামিওতে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ নিশ্চিত হয়। ২৫ করে মুশফিক রান আউট হলেও ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। মুজিব ও গুলবাদিন একটি করে উইকেট শিকার করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here