খবর ৭১: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে সুমন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
সুমন উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের চৌবাড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। সে পেশায় একজন ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি।
এ ঘটনায় রবিবার (২ জুলাই) রাতে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। গত শনিবার (১ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের চৌবাড়ী পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার ও ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্কুল থেকে ফেরার পথে প্রায়ই ওই স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত ও নানা কুপ্রস্তাব দিতো প্রতিবেশী সুমন। সুমনকে ওই ছাত্রীর পরিবার থেকে একাধিকবার নিষেধ করার পরও সুমন তাকে উত্যক্ত করতেই থাকে। মান সম্মানের ভয়ে বিষয়টি আর কাউকে না জানিয়ে পরিবার নিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমায় ওই ছাত্রীর পরিবার। তাতেও দমেনি সুমন। ঢাকাতে গিয়েও ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করতে থাকে সুমন। সেখানে স্কুল ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা তাকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এবার স্কুলছাত্রীর পরিবার বাড়িতে আসে ঈদ করতে। এরই এক পর্যায়ে গত শনিবার (১ জুলাই) দিবাগত রাতে জানালা ভেঙে স্কুলছাত্রীর শোবার ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে সুমন। স্কুলছাত্রীর চিৎকারে পাশের ঘর থেকে তার বাবা মা আসলে সুমন জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সকালে বিষয়টি সুমনের বাড়িতে তার পরিবারকে জানাতে গেলে স্কুলছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে সুমন ও তার পরিবারের সদস্যরা।
পরবর্তীতে ওই ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনদিন চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার বাড়ি ফেরে ওই স্কুলছাত্রী।
এ ব্যাপারে কথা বলতে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেলে অভিযুক্ত সুমনের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিবেশীরা জানান, সুমনের ঘটনায় পুলিশের গ্রেপ্তার আতঙ্কে তারা বাড়ি তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী প্রধান জানান, ওই স্কুল ছাত্রীর বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে স্কুল ছাত্রীর শারিরীক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। ভিকটিম স্কুলছাত্রীর ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য বুধবার সিরাজগঞ্জ আদালতে পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত সুমনসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।