ছাতকে অভিনব পদ্ধতিতে বিদ্যালয় পরিদর্শন ১৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে শোকজ

0
70

হাবিবুর রহমান নাসির ছাতক প্রতিনিধি :
ছাতকে শিক্ষকরা দেরীতে বিদ্যালয়ে আসার কারণে এখানে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার মান দিনে-দিনে নিম্নমুখী হচ্ছে। এনিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং এসএমসির সভাপতিদের নিয়ে পৃথকভাবে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।কিন্তু শিক্ষকদের বিদ্যালয় ফাঁকি দেয়ার প্রবনতা এখানে রয়েই গেছে।ছাতক উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা শহরে বসবাস করেন বিধায় সময়মতো তারা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারেন নি এমন অভিযোগ রয়েছে বেশ কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

সোমবার (২২ মে) এক অভিনব কায়দায় উপজেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুম মিয়া ও ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর
(চ.দা) মোস্তফা আহসান হাবিব।

উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে ডিজিট্যাল পদ্ধতিতে বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করা হয়। প্রথমে মোবাইল ফোনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে কথা বলেন তারা। পরে হোয়াটসআপে অথবা ইমুতে ভিডিও কলে কথা হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে। মোবাইল ফোনে কথা হলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা কর্মস্থলে রয়েছেন বলে জানান। কিন্তু ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা ভিডিও কলে কর্মস্থলে তাদের অবস্থান দেখাতে পারেন নি। আবার অনেকেই তাদের অবস্থান বিদ্যালয়ে রয়েছে ভিডিও কলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পেরেছেন বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড,শিক্ষক হাজিরাখাতা বা অন্য কিছু দেখিয়ে।

কর্মস্থলে রয়েছেন মোবাইল ফোনে স্বীকার করা এমন ১১টি বিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকারা ভিডিও কলে বিদ্যালয়ে তাদের অবস্থান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। মোবাইল ফোনে ভিডিও কলের মাধ্যমে সকাল ৯.০০ ঘটিকা হইতে ১০.১০ ঘটিকা পর্যন্ত বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হয়।

২২ মে বিদ্যালয়ে সময়মতো উপস্থিত না হয়ে বিভিন্ন ধরনের ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন এমন ১৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মাসুম মিয়া কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।

এরমধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছেন গদারমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনা বেগম,সহকারি শিক্ষক শুধাংশু শেখর দাস ও কবির আহমদ। এই বিদ্যালয়ে ৩ জন শিক্ষকই উপস্থিত নেই। ছৈলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মিজানুর রহমান ও হাসনা বেগম বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না।

সৈদের গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক কবির আহমদ,রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরতুজ আলী,কামরাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুকিত, সদুখালি-নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফা বেগম, ভাতগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নাসিরা বেগম,গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সাবিনা বেগম,গোয়ালগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রুমেনা বেগম,বড় পলির গা্ঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুলসী রানী দেবনাথ ও চরবাড়ুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পান্না বেগম বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের সকলের বিরুদ্ধে সোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here