খবর৭১: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম-কে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে রবিবার দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় জাহাঙ্গীরকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের ওই সভায় জাহাঙ্গীর আলমকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য দাবি তুলেন আওয়ামী লীগের দুজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এসময় সভায় উপস্থিত থাকা অন্য সদস্যরা এতে সম্মতি জানান।
সভায় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে জনানো হবে। তিনি যা বলবেন তাই করা হবে। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দল তার প্রতি কঠোর হবে বলে জানান তিনি। এর এক দিন পরই জাহাঙ্গীরকে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত এলো।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার হন জাহাঙ্গীর আলম। পরে মেয়র পদও হারান তিনি। নিজের ভুল স্বীকার করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমার আবেদন করলে শর্ত সাপেক্ষে গত জানুয়ারিতে তাকে ক্ষমা করা হয়। কিন্তু এর চার মাস না যেতেই দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হন তিনি। এরই মধ্যে গুম হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে দল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হয় আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। যার ফল শ্রুতিতে সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় জাহাঙ্গীরকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।