স্লোগান দেওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডা, আওয়ামী লীগকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা

0
84

খবর ৭১: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির অনুষ্ঠানে স্লোগান দেওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে সোনা মিয়া (৫৫) নামে আওয়ামী লীগকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার হারাগাছ খানসামা ইমামগঞ্জ স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোনা মিয়া উপজেলার হারাগাছের নাজিরদহ এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি হারাগাছ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকেলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে উপজেলার ইমামগঞ্জ স্কুলমাঠে আসেন বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি। সেখানে সোনা মিয়া ও তার ভাই মুকুল মিয়া বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া শুরু করলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের লোকজনদের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের নামে মুকুল ও সোনা মিয়া স্লোগান না দেওয়ায় সেখানে হট্টগোলের চেষ্টা করেন দুপক্ষের লোকজন। রাতে সোনা মিয়াকে বাজারে একা দেখতে পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের লোকজন তার ওপর হামলা চালায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কাউনিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। সোমবার বিকেলে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে আব্দুর রাজ্জাকের সমর্থকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই রাতে হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহতের ভাতিজা আলমগীর হোসেন বলেন, বিকেলে বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে স্লোগান দেওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। রাতে আমার চাচা সোনা মিয়াকে ইমামগঞ্জ স্কুলের সামনে একা পেয়ে আব্দুর রাজ্জাকের পক্ষের লোকজন বেধড়ক মারধর করে। এতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে চাচার মৃত্যু হয়।

কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাসির বিল্লাহ বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

ওসি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় আছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here