দেশের পুরো চালের বাজার প্রতারণামূলক’

0
88

খবর৭১: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, দেশের পুরো চালের বাজার প্রতারণামূলক। কেননা যে নামে চাল তৈরি হয় তা ব্যাগের ভেতরে থাকে না। মোটা স্বর্ণা চাল চিকন করে পুষ্পমতি নামে বিক্রি করা হয়। আরও অনেক মোটা চাল চিকন করে ভিন্ন নামে বিক্রি করা হয়। যে নামে ধান সেই নামে চাল বিক্রি করতে হবে। চালের বাজারে প্রতারণা চলতে দেওয়া যায় না। এটা বন্ধ করতে হবে। এজন্য বাজার ব্যবস্থাকে সংস্কার করতে হবে। এখানে সরকারকে হাত দিতে হবে। এরকম প্রতারণা বন্ধে প্রয়োজনে নতুন আইন করে তা বাস্তবায়ন করা দরকার। জাতের বাইরে যেন অন্য কোনো নামে বাজারে চাল না থাকে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘ডিজেএফবি উন্নয়ন সংলাপে’ তিনি এসব কথা বলেন। এর আয়োজন করে ‘ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি)’।

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি হামিদ-উজ-জামান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। সংলাপে অংশ নেন ডিজেএফবির সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুল সাদিক, অর্থ সম্পাদক সাইদ রিপন, দপ্তর সম্পাদক এম আর মাসফি প্রমুখ।

সংলাপে অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, পলিশ করে চাল কেটে ফেলে দেওয়া হয়। এভাবে চিকন করে চালের বাজারে প্রতারণা চলছে। কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনে এনে চিকন চাল তৈরি করা হয়। তিনটা মেশিনে পার করে মোটা চাল চিকন করে। এর ফলে চালের প্রকৃত পুষ্টি থাকে না।

করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দেশে শাসন ব্যবস্থায় সমস্যা থাকতে পারে, কিন্তু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচানায় আমরা অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছি। এর ফলে করোনা ও যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে আমাদের অর্থনীতি মন্থর হলেও হারিয়ে যায়নি। সুশাসনের অভাবে অনেক প্রতিষ্ঠানকে আরও ভলো হতে হবে। আমরা উন্নত দেশ হয়ে যাইনি। ফলে আমাদের মতো অর্থনীতির দেশে সুশাসনের সমস্যা থাকাটাই স্বাভাবিক।

আইএমএফ ঋণের সঙ্গে দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধির কোনো সম্পর্ক নেই বলে মনে করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ ঋণ না দিলেও আমাদের কিছু কিছু জায়গায় দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো। কেননা আমাদের রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। মোট জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আয়ের হার কম। আইএমএফ আমাদের যে ঋণ দিয়েছে তা মোট জিডিপির তুলনায় খুবই কম। এজন্য বলি আইএমএফের শর্তে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়েনি। আইএমএফ ঋণ না দিলেও আমাদের ভর্তুকি কমাতে হতো এবং কিছু দ্রব্যের দাম বাড়াতে হতো। এছাড়া পণ্যের দাম বৃদ্ধির শর্ত আইএমএফের ঋণের ক্ষেত্রে নেই। সংস্থাটি কিছু পরামর্শ দিয়েছে। তবে আমরা যা চেয়েছি তার থেকে বেশি বাজেট সহায়তা পেয়েছি আইএমএফের কাছে। আমাদের সার্বিক অর্থনীতির প্রতি আইএমএফ আস্থাশীল বলেই ঋণ দিয়েছে। ঋণ দিতে পেরে আইএমএফও খুব খুশি। পাকিস্তান এখনো আইএমএফের ঋণ পায়নি। আমরা দ্রুততম সময়েই ঋণের অর্থ পেয়েছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here