ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ফিরে পেলেন ট্রাম্প

0
182

খবর ৭১: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ফেরত পেয়েছেন। ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে নিষিদ্ধ ছিল। এখন এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দুইটির মূল প্রতিষ্ঠান মেটা ইনকরপোরেশনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় সিএনএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারী ক্যাপিটল হিলে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গার পরে ট্রাম্পকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। মেটা জানিয়েছিল, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের প্রশংসা করার পর এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

মেটা জানিয়েছে, ট্রাম্প যদি আবার নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তাহলে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হতে পারে। এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ এক মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত হতে পারে।

২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প হেরে যান। জয়ী হয়েছিলেন জো বাইডেন। কিন্তু ট্রাম্প নির্বাচনে কারচুপির ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক পোস্ট করেছেন। ট্রাম্পের ভিত্তিহীন দাবির পোস্ট এখনও তার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পেজে রয়েছে।

ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টগুলোকে তার সমর্থকরা স্বাগত জানাচ্ছেন। এই দুই মাধ্যমে তার শেষ পোস্টে মন্তব্য করছেন সমর্থকরা। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারী হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের বিজয়ের নিশ্চিতকরণ ঠেকাতে ক্যাপিটল হিলের মার্কিন সংসদ ভবনে হামলা চালায়।

হামলায় উসকানি দেওয়ার জন্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল মেটা। ট্রাম্পকে প্রথমে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে প্রতিষ্ঠানটির স্বাধীন তদারকি বোর্ড পরে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে। সমালোচনার মুখে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ সংশোধন করা হয়।

নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, এই পদক্ষেপটি ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে ভোট দেওয়ার লক্ষ লক্ষ লোকের ‘অপমান’। মেটা কয়েক সপ্তাহ আগে ঘোষণা করেছিল, তারা ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যাচ্ছে।

এখন মেটা এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ যুক্তি দিয়েছেন, রাজনীতিবিদরা কী বলছেন তা শোনার অধিকার জনগণের রয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, এই পদক্ষেপটি ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে ভোট দেওয়ার লক্ষ লক্ষ লোকের ‘অপমান’।

নিক ক্লেগ জানান, একটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টগুলো আর জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে না। গত বছরের নভেম্বরে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ফেসবুকে তার ৩৪ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার এবং ইনস্টাগ্রামে ২৩ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here