চলে গেলেন সুরকার সংগীত পরিচালক আলম খান

0
192

খবর৭১ঃ ওরে নীল দরিয়া’, ‘হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস’- এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সুরকার বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক আলম খান আর নেই।

শুক্রবার বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে রাজধানী শ্যামলীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আলম খানের ছেলে সংগীতশিল্পী আরমান খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

২০১১ সালে ফুসফুসে ক্যানসারে আক্রান্ত হন আলম খান। দীর্ঘদিন দেশ ও বিদেশে চিকিৎসা চলছিল তাঁর।

পপসম্রাটখ্যাত আজম খানের আপন বড় ভাই আলম খান দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

ছেলে আরমান খান জানান, আজ বাদ আসর এফডিসিতে আলম খানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দাফন হবে শনিবার শ্রীমঙ্গলে।

সেক্রেটারিয়েট হোম ডিপার্টমেন্টের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার আফতাব উদ্দিন খানের সন্তান গুণী সংগীত ব্যক্তিত্ব আলম খান ১৯৪৪ সালে সিরাজগঞ্জের বানিয়াগাতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা জোবেদা খানম ছিলেন গৃহিণী।

১৯৬৩ সালে রবিন ঘোষের সহকারী হিসেবে ‘তালাশ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সংগীত পরিচালনায় আসেন আলম খান। এরপর ১৯৭০ সালে চলচ্চিত্রকার আব্দুল জব্বার খান পরিচালিত ‘কাচ কাটা হীরে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম এককভাবে সংগীত পরিচালনা শুরু করেন।

বিখ্যাত এই সুরকারের সুর করা প্রথম জনপ্রিয় গান ‘তবলার তেড়ে কেটে তাক’। গানটি ‘স্লোগান’ ছায়াছবির। এরপর ১৯৭৮ সালে মুক্তি পাওয়া আবদুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত ‘সারেং বৌ’ চলচ্চিত্রে আবদুল জব্বারের গাওয়া ‘ওরে নীল দরিয়া’ গানটি অনন্যতা পায়।

১৯৮২ সালে ‘রজনীগণ্ধা’ চলচ্চিত্রে সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো’ এবং ‘বড় ভালো লোক ছিল’ চলচ্চিত্রে সৈয়দ শামসুল হক রচিত ও এন্ড্রু কিশোরের কণ্ঠে ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’ বিপুল জনপ্রিয়তা পায়।

‘বড় ভালো লোক ছিল’ চলচ্চিত্রের জন্য আলম খান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

আলম খানের সুর ও সংগীত পরিচালনায় উল্লেখযোগ্য কিছু গান হলো—‘চুমকি চলেছে একা পথে’, ‘হীরামতি হীরামতি ও হীরামতি’, ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো গন্ধ বিলিয়ে যাই’, ‘বুকে আছে মন’, ‘ সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘ভালোবেসে গেলাম শুধু’, ‘আজকে না হয় ভালোবাসো আর কোনোদিন নয়’, ‘তেল গেলে ফুরাইয়া’, ‘আমি তোমার বধূ তুমি আমার স্বামী’, ‘মনে বড় আশা ছিল’ ইত্যাদি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here