বিএনপি’র আচরণ গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ -তথ্যমন্ত্রী

0
143

খবর ৭১: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই রাষ্ট্রপতি, সার্চ কমিটি এবং সংলাপকে অবজ্ঞা করছে। তাদের এ আচরণ দেশের গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ।’

‘আসলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ধ্বংস করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া আর ফেরেশতাও যদি তাদেরকে নির্বাচনে জয়লাভের নিশ্চয়তা না দেয় তার আগ পর্যন্ত তারা নির্বাচন মানবে না -এই তাদের উদ্দেশ্য’ বলেন তিনি।

বুধবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মিলনায়তনে ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ হাসান রাসেলের সভাপতিত্বে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দীন, ওআইসি ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট তাহা আইহান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

সার্চ কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে বসে তাদের কাছ থেকে নাম নিয়ে একটি অসাধারণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে, যা দেশের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাটা সার্চ কমিটির হাতে দিয়েছেন। সার্চ কমিটি সেখান থেকে বাছাই করে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন, যেখান থেকে তিনি ৫ জনকে নিয়োগ দেবেন। বিএনপি’র ঘরোনা বুদ্ধিজীবীরাও সার্চ কমিটিকে বলেছেন, বিএনপির আসা প্রয়োজন, কিন্তু বিএনপি শুরু থেকেই পুরো প্রক্রিয়াকেই না করেছে।

সবাইকে সাথে নিয়ে সার্চ কমিটি যেভাবে কাজ করছে এজন্য তারা সত্যিকার অর্থেই দেশবাসীর ধন্যবাদ পাওয়ার অধিকার রাখে এবং ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এমনকি কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও এতো অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় না, বলেন সম্প্রচারমন্ত্রী।

এর আগে বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে ওআইসির সদস্যভূক্ত করেছিলেন। যে কারণে আজকে আমরা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটালের অনুষ্ঠানাদি আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহেই আজ বাংলাদেশ ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশ্বে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। যখন আমাদের যুব ক্রিকেট দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়, আমাদের নারী ক্রিকেট দল এশিয়া কাপ জিতে নেয়, নারী ফুটবল দল ১১ গোলে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয়, এমনকি আমাদের শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ যখন এশীয় অলিম্পিক থেকে পদক নিয়ে আসে তখন আমরা বিশ্ব সংবাদ হই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়ায় উৎকর্ষ সাধনের যে নানা উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিয়েছেন সেজন্যই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।

তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যই সমৃদ্ধি এবং তারুণ্যের শক্তি দিয়ে দেশ ও বিশ্বকে আমরা সমৃদ্ধির সোপানে উন্নীত করবো উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ এসময় ঢাকাকে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল হিসেবে নির্বাচিত করায় ওআইসি ইয়ুথ ফোরামকে এবং প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। সভাশেষে অতিথিবৃন্দ ওআইসি ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ে ১০টি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখার্জি এবং সুরসম্রাট বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক

বাংলা সঙ্গীতের কিংবদন্তী শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এবং বাপ্পি লাহিড়ি’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এবং সুরসম্রাট বাপ্পি লাহিড়ি তাদের কণ্ঠ ও সুরের মাঝে অমর হয়ে থাকবেন। ভারতের মাটিতে এই দুই মহান শিল্পীর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের সংবাদে শোকাহত মন্ত্রী প্রয়াতদের আত্মার শান্তিকামনা করেন এবং তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান তার শোকবার্তায় বলেন, কণ্ঠের জাদুতে কয়েক দশক ধরে সংগীত জগৎকে মাতিয়ে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও বাপ্পি লাহিড়ির গান ভারতের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মানুষের হৃদয়ে চিরদিনের জন্য স্থান করে নিয়েছে। তাদের মহাপ্রয়াণ বাংলা সংগীতের জগতে এক বেদনাবিধুর অধ্যায়।

বইমেলায় তথ্যমন্ত্রী

এদিন বিকেলে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের স্টল উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে নজরুল মঞ্চে কবি আসলাম সানী’র কাব্যগ্রন্থ ‘শেখ হাসিনার জয় বিশ্বের বিস্ময়’, ড. মজিদ মাহমুদের ‘সাহিত্যে বঙ্গবন্ধু: মহাজীবনের মহাকাব্য’, ফারুক হোসেনের ‘ছড়ায় বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, গীতিকার সুজন হাজং, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ এবং গ্রন্থকার ও প্রকাশকবৃন্দ মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here