সৈয়দপুরে শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দূর্ভোগে অসহায় মানুষ

0
452
শীত

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: চলতি শীত মৌসুমে গতকাল শুক্রবার নীলফামারী জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে। এ দিন এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবস্থিত আবহাওয়া অফিস সকাল ৬টায় ওই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। যা ছিল জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, নীলফামারীর সৈয়দপুরের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। এ মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় গতকাল শুক্রবার।
চলতি শীত মৌসুমের মাঘ মাসের শুরু থেকেই নীলফামারী তথা এ অ লে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি হালকা কুয়াশায় ও হিমেল বাতাসে সৈয়দপুরে শীতের তীব্রতা আরো বেড়েছে। শরীরে হুল ফোঁটানো ও হাঁড় কাঁপানো শীতে নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রচন্ড শীতে গ্রামের মানুষজন বেশি কাতর হয়ে পড়েছেন। তারা দিনভর খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপ নিয়ে শীত নিবারনের ব্যর্থ চেষ্টা করছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে শহরের পাঁচমাথা মোড়ে বিমানবন্দর নিচুকলোনীর অটোরিকশা চালক গোলাম মোস্তফা জানান, সকালে রোদ দেখে ব্যাাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু এখন আকাশ মেঘলা ও হালকা ‍কুয়াশা পড়ছে। ঠান্ডায় অটোরিকশা চালাতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া শহরের শীতে তীব্রতায় লোকজনের উপস্থিতিও অন্য দিনে তুলনায় অনেক কম। আর গতকাল শুক্রবার জুম্মার দিন হওয়ায় শহরের দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, তীব্র শীতে অসহায় ও শীতার্ত মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন এনজিও সামাজিক সংগঠনের মাধ্যম শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা একেবারে অপ্রতুল।
সৈয়দপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আবু হাসনাত সরকার জানান, প্রধানমন্ত্রী মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মাধ্যমে ৪৭০টি করে কম্বল বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে উপজেলা বিভিন্ন এতিমখানা , লিল্লাহ বোর্ডি ও কওমি মাদ্রাসা, প্রতিবন্ধী মানুষের মধ্যে আরো এক হাজার ৮ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সামাজিক সংগঠনও আলাদা আলাদাভাবে অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ অব্যাহত রেখেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here