বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা

0
242

খবর৭১ঃ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর তিন দিন সংসদ ভবন ও সংলগ্ন এলাকা, সংসদ ভবন থেকে ৩২ নম্বরসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ নিরাপত্তায় পুলিশের বিশেষ টিম সোয়াত ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত থাকবে।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিজয় দিবস ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সংসদ ভবনের আশপাশের এলাকার প্রতিটি ভবনে পোশাকে ও সাদা পোশাকে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আমন্ত্রিত অতিথিদের নিরাপত্তা তল্লাশির মধ্য দিয়ে ভেন্যুতে প্রবেশ করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে তা কঠোরভাবে পালন করা হবে।

মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, অনুষ্ঠান ঘিরে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিজয় উৎসব ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিন চলবে। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পাশের দেশ ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ উপস্থিত থাকবেন।

‘এছাড়া জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে শুরু করে ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন, সংসদ ভবন চত্বরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিজয় দিবসের সকাল বেলা জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে যে প্যারেড হয় সেটি আয়োজন করা হবে। এবারের প্যারেডটি বিশেষ বলে অন্যবারের চেয়ে আরও বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ডিএমপি কমিশনার জানান, বিজয় দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চার স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ডিএমপি পুলিশের পাশাপাশি থাকবে আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন, এসএসএফ ও পিজিআর। পাশাপাশি প্রতিটি ভেন্যু আগে থেকে এসএসএফ, এসবি, র‍্যাব ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড এবং বোম সুইপিং করা হবে। অনুষ্ঠানস্থলে যেসব ভিআইপি ও ভিভিআইপি অতিথি প্রবেশ করবেন সবাইকে নিরাপত্তা চেকিং হয়ে প্রবেশ করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো পালন করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কাউকে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এছাড়া সোয়াত ও বোম ডিস্পোজাল ইউনিট ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত থাকবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় নোটিশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা কাজ শুরু করবেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন। তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে পোশাকে থাকা পুলিশকে জানাবে।

তিনি আরও বলেন, ভিভিআইপি ও ভিআইপি অতিথিরা যেসব রাস্তা ব্যবহার করে চলাচল করবেন সেসব রাস্তা বন্ধ থাকবে। এমনকি সংসদ ভবন এলাকায় যতগুলো ভবন আছে প্রতিটি ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সংসদ ভবন এলাকা ঘিরে প্রতিটি সড়কে ডাইভারশন থাকবে।

পরীক্ষার্থীদের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সবাই হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হবেন। কারণ আগামীকাল ভারতের রাষ্ট্রপতি আসবেন। তার নিরাপত্তার স্বার্থে বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ রাখা হবে। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের হাতে সময় নিয়ে বের হতে অনুরোধ করব। আর যদি কোথাও আটকে যান তখন ৯৯৯ এ কল দিলে আমাদের পুলিশ সদস্যরা আপনাদের হলে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।’

ডিএমপি কমিশনার জানান, প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে সাতটি দেশের ৩০২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here