মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া’

0
250

খবর৭১ঃ খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করতে না দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। আজ তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। মানুষের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক তিনি। আজ তার ন্যুনতম যে চিকিৎসার অধিকার তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারছেন না। তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে দেশ থেকে নির্বাসিত অবস্থায় রেখে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে জাতীয় কমিটির উদ্যোগে এই সেমিনার হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সেমিনারে ইংরেজীতে লেখা ‘Disenfranchisement under the authoritarian regime’ শীর্ষক গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়। ২০০৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা চিত্র তুলে ধরা হয় এই গ্রন্থে।

অনুষ্ঠানে বর্তমান সরকারের আমলে ‘গুম’ হওয়া সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস, বিএনপির সাজেদুল ইসলাম সুমনের ভাগনি আফরা আনজুম, ওমর ফারুকের স্ত্রী পারভীন আখতার, ছাত্রদলের মাহবুবুর রহমান বাপ্পীর বোন ঝুমুর আখতার তাদের স্বজনদের সন্ধান চেয়ে আবেগময় কণ্ঠে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ, কানাডা, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

গুম হওয়া পরিবারের সদস্যদের বেদনার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, গত ৮ বছর ধরে আমরা এই পরিবারগুলোর কান্না শুনেছি, শিশুদের কান্না শুনেছি। এখনো শিশুরা অপেক্ষা করে থাকেন কখন তার বাবা ফিরে আসবে। এরকম একটা ভয়াবহ মর্মস্পর্শী পরিস্থিতির মধ্যে আমরা আছি। বাংলাদেশে আমরা যারা আছি বারবার একথা বলার আর প্রয়োজন নেই যে, কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে।

তিনি বলেন, একটা কথা খুব পরিষ্কার মানবাধিকার ও গণতন্ত্র- এই দুইটা পরস্পরের পরিপূরক। গণতন্ত্র ছাড়া মানবাধিকার কোনো দিন রক্ষা হতে পারে না, আর মানবাধিকার ছাড়া কখনো গণতন্ত্র চলতে পারবে না। আমাদের যে মানবাধিকার ও হিউম্যান রাইটস সংগঠনগুলো আছে তাদের হিসাব বছরে প্রায় ৬০৭ জন গুম হয়ে গেছে। আমাদের প্রায় সহস্রাধিক রাজনৈতিক কর্মী নিহত হয়েছেন, তাদের হত্যা করা হয়েছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা। ঢাকা কোর্টে যান, জেলা আদালতগুলোতে যান দেখবেন, যারা আসামি হয়ে আসছেন তাদের ৯০ ভাগ বিএনপির নেতাকর্মী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here