সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রিকশা চালক দুলাল হোসেনের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকালে মানববন্ধন হয়েছে। সৈয়দপুর উপজেলা রিকশা ও রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সামনে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে ওই মানববন্ধন করা হয়।
সেখানে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সৈয়দপুর উপজেলা রিক্সা ও রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং-১৩) এর সাধারণ সম্পাদক হবিবর রহমান হবি, সাংগঠনিক সম্পাদক আনছার আলী, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য (বিকল্প) রুহুল আলম মাষ্টার, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন সৈয়দপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সৈয়দপুর উপজেলা শাখার নেতা ওবায়দুর রহমান সরকার, নিহত দুলাল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন ও রিকশা শ্রমিক আলানূর প্রমূখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, শহরের নতুন বাবুপাড়ার মতো একটি আবাসিক এলাকার মধ্যে নিরীহ রিকশা চালক দুলাল হোসেনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার (দুলাল হোসেন) হত্যাকান্ডের আজ ৯/১০ দিন অতিবাহিত হচ্ছে। অথচ আজও দুলাল হোসেন হত্যাকারীকে পুলিশ সনাক্ত কিংবা গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বক্তারা অবিলম্বে রিকশা চালক দুলাল হোসেন হত্যাকারীদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান। অন্যথায় আগামীতে দুলাল হোসেনের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সৈয়দপুরে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ কনে। মানববন্ধনের গোটা আলোচনা সভাটি স ালনা করেন শিক্ষাণবীশ আইনজীবী ও যুব নেতা নন্দ কুমার বাশফোর।
মানববন্ধনে সৈয়দপুর উপজেলা রিকশা ও রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বছির উদ্দিন, জোনাব আলী, শান্ত কুমার বাশফোর, আব্দুস সালাম, নিহত রিক্সা শ্রমিক দুলাল হোসেনের স্ত্রী আবেদা খাতুন, রিকশা শ্রমিক রুবেলসহ শহরের বিভিন্ন স্ট্যান্ডের বিপুল সংখ্যক রিকশা ও রিকশা ভ্যান শ্রমিকরা অংশ নেন।
প্রসঙ্গত,গত ৯ আগস্ট (সোমবার) ভোরে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের নতুন বাবুপাড়া সোনাউল্ল্যাহ্ বসুনিয়া সড়কে রিকশা চালক দুলাল হোসেনকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে ডান পাশের গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তার বাড়ি সৈয়দপুরে পার্শ্ববর্তী দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা ফতেজংপুর ইউনিয়নের চক মানিক ডাঙ্গাপাড়ায়। সেখান থেখে প্রতিদিন এসে সে মূলত রাতে সৈয়দপুর শহরে রিকশা চালিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন নির্বাহ করে আসছিলেন।