মোবাইলে গেম খেলতে নিষেধ করায় কিশোরীর আত্মহত্যা

0
192

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:
পাইকগাছার ১৩ বছরের এক কিশোরী নারায়ণগঞ্জে আত্মহত্যা করেছে। মৃতদেহ এলাকায় আনার পর থানা পুলিশ ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেছে। রোববার সকাল ৮টার দিকে ভাড়া বাসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। মোবাইলে গেম খেলতে নিষেধ করায় অভিমান করে কিশোরী রাবেয়া আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে। সে উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের ঘোষাল গ্রামের রাজ্জাক গাজীর মেয়ে। পিতা-মাতা সহ তার বোন জামাই কর্মসূত্রে ৫ বছর যাবৎ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার মদনপুর এলাকায় ছিল। রাবেয়ার পিতা টোকন নামের এক ব্যবসায়ীর অধিনে কাজ করতো এবং মা অলেম্পিক বিস্কুট ফ্যাক্টেরীতে কাজ করতো। রাবেয়া পিতা- মাতার সাথেই ছিল এবং সেখানে সে ৮ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। মদনপুর এলাকার একটি টিন সেডের বাসা ভাড়া নিয়ে তারা সেখানে থাকতো।
ঘটনার দিন রোববার ভোরে পিতা-মাতা কাজে চলে গেলে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে রাবেয়া আত্মহত্যা করে। পরে ৯টার দিকে নাস্তা করতে বাসায় এসে তার পিতা ও বড় বোন দরজা আটকানো দেখে অনেক ডাকা-ডাকির পর সাড়া না পেয়ে জানালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় রাবেয়াকে উদ্ধার করে ঢাকার আলবারাকা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে ৃত ঘোষণা করে। পরে দুপুর ১টার দিকে মৃতদেহ নিয়ে তার পরিবার নারায়ণগঞ্জ থেকে রওনা দেয় এবং রাত পৌনে ৯টার দিকে পাইকগাছায় পৌছায়। বিষয়টি জানতে পেরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করা থেকে বিরত থাকার জন্য তার পরিবারকে অনুরোধ করে।
সোমবার সকালে পুলিশ সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ব্যাপারে রাবেয়ার বড় বোন রাজিয়া জানায়, সে সব সময় মোবাইলে গেম খেলতো। আত্মহত্যা করার আগের দিন তাকে মোবাইলে গেম খেলতে নিষেধ করা হয়। এ কারণে হয়তো অভিমান করে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছি। ওসি এজাজ শফী জানান, মৃত্যুটি সন্দেহ জনক হওয়ায় আমরা ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেছি। এরপরে যদি কেউ আইনগত ব্যবস্থা নিতে চায় তাহলে তারা ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জে মামলা করতে পারবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here