করোনার সংক্রমণ ঠেকানো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

0
340

খবর৭১ঃ করোনার সংক্রমণ ঠেকানো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া। সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য অন্যসব মন্ত্রণালয় কাজ করছে। দেড় বছর যাবৎ অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে আমরা যুদ্ধ করছি। এখন আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে ও সরকারের ঘোষিত লকডাউন মানতে হবে।’

সোমবার সন্ধ্যায় চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মানিকগঞ্জের সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মমতাজ বেগম, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মহীউদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, পৌর মেয়র রমজান আলী, সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমীন আখন্দ, সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, সিংগাইর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের পরিচালক গৌতম রায়, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু, মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল প্রমূখ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামের হাটবাজার, চায়ের দোকানের মানুষজনের আড্ডা বন্ধ করতে হবে। গ্রামের মানুষের ধারণা ছিল তাদের করোনা হবে না। কিন্তু এখন গ্রামের মানুষের করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। সারাদেশে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মনিটরিং কমিটিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে লাল পতাকা উঠানোর পাশাপাশি সচেতনতার জন্য নিয়মিত মাইকিং করতে। এছাড়া জ¦র-কাঁশি নিয়ে অবহেলা করা যাবে না। করোনা টেস্ট বাড়াতে হবে।’

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতির কথা জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘সারাদেশে স্বাস্থ্য বিভাগে ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান মিলিয়ে ৫০ হাজার লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও ডাক্তার নার্স নিয়োগ দেওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে নন কোভিড রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। আমরা সচেতন না হলে হাসপাতালের বেড বাড়িয়েও কূল পাওয়া যাবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে করোনার রোগীর জন্য ১৬ হাজার বেড রয়েছে। ইতিমধ্যে ৯০ ভাগ বেডে রোগী আছে। ভ্যাকসিন আনার জন্য আমরা সব দেশের সাথে যোগাযোগ করছি। চলতি মাসে এক কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে এবং আগামী মাসে আরও এক কোটি ভ্যাকসিন আসবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here