খবর ৭১: রুহুল আমিন ও শিমুল মাহমুদ নাঈম, লা মেরিডিয়ান থেকে : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশের নিম্ন আদালত সরকারের কব্জায়, সঠিক রায় দেয়ার ক্ষমতা তাদের নেই।
শনিবার সকালে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘুম-খুন-নির্যাতন করে সরকার দেশে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। হত্যার ও নির্যাতনের মাধ্যমে মানুষের মুখ বন্ধের চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে দেশে বিনিয়োগ আসছে না।
জিয়া অরফানেস ট্রাস্ট মামলার রায়ের বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘অপরাধই নেই, তাহলে বিচারটা করবে কিসের? তাঁরা গায়ের জোরে ক্ষমতায় আসতে চায়।’
‘সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে অস্ত্রের মুখে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে’ উল্লেখ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারকরা এখন স্বাধীনভাবে রায় দিতে পারছেন না। ক্ষমতাসীন দল সংবিধানকে নিজেদের মতো করে সংশোধন করে নিয়েছে। সংবিধানে গণতন্ত্রের কিছু রাখা হয়নি। এখন ভোটের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে যারা গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় আসার দাবি করছে, অস্ত্রের মাধ্যমেই তারা ক্ষমতায় এসেছে। তত্ত্বাবধায়কের দাবি আওয়ামী লীগের ছিল। এ দাবির জন্য তারা ১৭৩ দিন হরতাল করেছে, জ্বালাও-পোড়াও করেছে। এখন তারা সব মুছে দিয়ে নিজেরা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করছে জনগণকে ভয় পায় বলে।’
‘গুম-খুন-নিত্য ঘটনা। নৌকায় পচন ধরেছে বলে এত আগে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ওয়াদা নিচ্ছেন জনগণের কাছ থেকে’, যোগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
‘দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন নেই’ উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘ডিজিটাল আইনের নামে নতুন কালাকানুন করা হচ্ছে মানুষের কণ্ঠরোধের জন্য।’