খবর৭১:মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ডেমোক্র্যাটরা তাদের সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারায় আমি খুশি হয়েছি। কংগ্রেসে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা সাময়িক অর্থ বরাদ্দের একটি বিলের পক্ষে সোমবার ভোট দেওয়ায় অচলাবস্থা কেটে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কার্যক্রম।
সত্যিই যদি আমাদের দেশের জন্য ভালো হয়, তাহলে অভিবাসন নিয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করবেন বলে উল্লেখ করন তিনি।
স্থানীয় সময় সোমবার সকালে সরকারের ব্যয় নির্বাহের বিলটি সিনেটে ৮১-১৮ ভোটে এবং প্রতিনিধি পরিষদে ২৬৬-১৫০ ভোটে পাশ হয়। এই বিলের বদৌলতে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় নির্বাহের অর্থ নিতে পারবে সরকার। তবে এই সময়ের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি বাজেট পাশ হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী রিপাবলিকানশিবির।
অবৈধ তরুণ অভিবাসীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের কাছ থেকে আলোচনার প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর ডেমোক্র্যাটরা বিল পাশের জন্য ভোট দিতে সম্মত হয়। ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা দাবি করেছিল, সরকার পরিচালনার অর্থ বরাদ্দের বিল পাশ হওয়ার আগে ড্রিমার প্রকল্পের অধীনে থাকা অবৈধ তরুণ অভিবাসীদের ইস্যুটি সমাধান করতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার বিলে স্বাক্ষর করেন। একইসঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের ধন্যবাদও দেন। অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে সামরিক খাত ও মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তুলতে মোটা অঙ্কের বাজেট বরাদ্দ করতে চান ট্রাম্প ও তার প্রশাসন।
এ নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে তার মতবিরোধ রয়েছে। গত অক্টোবর মাস থেকে চতুর্থবারের মতো স্বল্পমেয়াদি বাজেট বিল পাশ হলো। কারণ দীর্ঘমেয়াদি বাজেট পাশ করতে সম্মত হতে পারেনি ক্যাপিটল হিল (কংগ্রেস)। বাজেট সংকটের কারণে বাধ্যতামূলক অবৈতনিক ছুটিতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী বিল পাশের খবরে যেন হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন। তবে তাদের জন্য এ ধরনের অভিজ্ঞতা নতুন নয়। বারাক ওবামার আমলেও সরকার পরিচালনার বাজেট আটকে দিয়েছিল রিপাবলিকানরা।
রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, অভিবাসন চুক্তি নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে সমঝোতায় সম্মত হয়েছে তাদের দল। ডেমোক্র্যাটদের চাওয়া, শিশু বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে আসা যে ৭ লাখ অবৈধ অভিবাসী তরুণ ড্রিমার প্রকল্পের আওতায় পড়াশোনা ও চাকরি করছে, তাদের যেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা না হয়। আর এই চুক্তি বাজেট পাশ হওয়ার আগেই করতে হবে। কিন্তু রিপাবলিকানরা দাবি করছিল, সরকারের সেবা বন্ধ থাকলে কোনো চুক্তিতেই আসা সম্ভব নয়। পরে দুই পক্ষ সমঝোতার মাধ্যমে সরকারের ব্যয় নির্বাহের বিল পাশ করে।
খবর৭১/জি: