খবর৭১ঃ বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানা বাধা উপেক্ষা করে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসে ফেরি ‘বনলতা’।
সোমবার বেলা ১১টায় ওই ফেরিঘাট থেকে ফেরিটিতে উঠেপড়ে সহস্রাধিক যাত্রী। সব বাধা পেরিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে হাজার হাজার ঘরমুখো মানুষ ঘাটে আসছেন। যেন ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে পাটুরিয়া ঘাটে।
জানা যায়, পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসে ইউটিলিটি ‘ফেরি বনলতায়’ ঠাঁই পায় মাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স। অথচ শুধু অ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরি যানবাহন পারাপারের জন্যই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও এ রুটে চালু রাখা হয়েছে দুটি ফেরি।
বেলা সাড়ে ১১টায় ফেরিটি দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌঁছায়। যাত্রীদের চাপে ফেরিটিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। তবে যাত্রীরা ঘাটে নামার পর নতুন করে বিড়ম্বনায় পড়েন। যানবাহন সংকটে তাদের তপ্ত রোদ-গরমের মধ্যে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এর মধ্যে কিছু কিছু প্রাইভেটকার, অটোরিকশা, মাহেন্দ্রযোগে অনেক যাত্রীকে গন্তব্যের উদ্দেশে ঘাট ছাড়তে দেখা যায়। তবে যানবাহনগুলোতে গলাকাটা ভাড়া আদায় করার অভিযোগ করেন যাত্রীরা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার থেকে পাটুরিয়া ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবির সদস্যরা টহল দিচ্ছেন; সঙ্গে রয়েছেন বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ রবিবার রাতভর ১৬টি ফেরি দিয়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহন পারাপার করে। কিন্তু সোমবার ভোর থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় ফেরি কর্তৃপক্ষ ।
তবে দিনেরবেলায় শুধু জরুরি পরিসেবার জন্য দুটি ফেরিতে যানবাহন পারাপার চালু রাখা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার ও শনিবার দৌলতদিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি থাকায় রোববার ও সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ তুলনামূলক কম ছিল। তবে ঘরমুখো মানুষকে ঠেকাতে জেলা পুলিশ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ বলেন, দিনে ফেরি বন্ধ। শুধু জরুরি পরিসেবায় বহরের ১৬টি ফেরির মধ্যে দুটি দিয়ে কিছু যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তাও অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী ছাড়া ফেরিতে উঠতে পারবে না। তবে রাতে পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য সব ফেরি সচল রাখা হবে।