খবর৭১ঃ সাতদিনের রিমান্ড শেষে আজ সোমবার হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হককে আবারও আদালতে হাজির করবে পুলিশ। এজন্য পুরান ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আজ সকাল থেকেই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আশপাশের এলাকা ঘিরে সাধারণ লোকজনের চলাফেরা নজরদারি ও তল্লাশি করা হচ্ছে। আদালতে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদেরও তল্লাশির আওতায় রাখা হয়েছে।
রাজধানীর মতিঝিল ও পল্টন থানার নাশকতার দুই মামলায় মাওলানা মামুনুল হকের ২০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিবি পুলিশ। এই দুই মামলায় প্রথমে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এরপর অনুষ্ঠিত হবে রিমান্ডের শুনানি।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, মামুনুলকে মোহাম্মদপুর থানার মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে সকালে আদালতে হাজির করা হবে।
আদালত এলাকায় পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, মামুনুল হককে আদালতে হাজির করা হবে, সেজন্য আশপাশের এলাকা এবং আদালতের চত্বরে সকাল থেকেই আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি। মামুনুল হককে আদালত হাজির করা থেকে শেষ পর্যন্ত এ সতর্কতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
গত ১৮ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে। মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এদিকে গত ৪ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন। এ ঘটনায় তার সমর্থকেরা রয়েল রিসোর্টে হামলা, আওয়ামী লীগ অফিস ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও মহাসড়কে অগ্নিসংযোগসহ সহিংসতা চালায়। পুলিশ বাদী হয়ে দুটি এবং ক্ষতিগ্রস্তরা বাদী হয়ে পাঁচটি মামলা করে। এসব মামলায় ৪৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ১৮০০ জনকে আসামি করা হয়। এ পর্যন্ত এই সাত মামলায় পুলিশ ৬৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু, মোদির সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলামসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। এসময় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের নেতাকর্মীরা ব্যাপক তাণ্ডব চালায়।