খবর৭১ঃ
মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকেঃ সৈয়দপুর উপজেলায় গরু চুরি বন্ধে পুলিশী তৎপরতা শুরু হয়েছে। গত এক মাসে ১২টিরও বেশী গরু চুরি যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পুলিশী অভিযানে একজন ইউপি সদস্যসহ ৩ জন গরু চোরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
চুরি বন্ধে ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও গ্রাম পুলিশদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন থানা পুলিশ। বৈঠকে গরু চুরিসহ অপরাধ বন্ধে সংশ্লিষ্টদের সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের তাগিদ দেয়া হয়েছে। এসব বৈঠকে সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল উপস্থিত থেকে সংশ্লিষ্টদের তৎপর থাকার আহ্বান জানান। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সময়ে গরু চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ অপরাধীদের ধরতে অভিযানে নামে। গত ৫ জানুয়ারি মো. মোস্তফা(৪৫) নামে এক গরু চোরকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। তার বাড়ি কামারপুকুর ইউপির ফকিরপাড়া গ্রামে। সে মৃত মো. আলীর পুত্র। গত ৭ জানুয়ারি বোতলাগাড়ী ইউপির খোর্দ্দ বোতলাগাড়ী হাজীপাড়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় মো. এনামুলকে (৪৮)।
সে মৃত তমিজ উদ্দিনের পুত্র। সর্বশেষ গত বুধবার গরু চুরির অভিযোগে বোতলাগাড়ীর ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলামকে (৩৯) গ্রেফতার করা হয়। এ দিন সন্ধ্যায় বোতলাগাড়ী বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মো. সুলতানের পুত্র সাইদুলের বাড়ি একই ইউপির জানেরপাড় এলাকায়। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে বলে পুলিশ জানায়। পুলিশের এ গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আতাউর রহমান ও এসআই সাহিদুর রহমানসহ সঙ্গীয় পুলিশ। এদিকে গরু চুরি বন্ধে থানা পুলিশের অভিযানে গরু চোর গ্রেফতার হওয়ায় গরু মালিকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এতে করে গ্রামাঞ্চলে গরু চুরির আতংক কেটে গেছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, সৈয়দপুরে হঠাৎ করে গরু চুরির হিড়িক পড়ে যায়। গত এক মাসে গ্রাম ও শহরে মিলিয়ে ১২টিরও বেশি গরু চুরি যায়। হঠাৎ করে চুরি ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় গরু মালিকদের মধ্যে চুরি আতংক সৃষ্টি হয়। চোরেরা রাতে গরু চুরি করে পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে চুরির কাজ সম্পন্ন করত। লোকজনের টের পাওয়ার আগেই দ্রুত পালাতে পিকআপ ভ্যান ব্যবহার করত। জানতে চাইলে, সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান জানান, গরু চুরির ঘটনা জানার পর পরই চুরি বন্ধে পুলিশী অভিযান চালানো হয়।
এ পর্যন্ত ৩ জন গরু চোরকে ধরা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতার চোরদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। আরও জিজ্ঞাসাদের জন্য তাদের রিমান্ডে নেয়া হবে। সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল বলেন, পুলিশী অভিযানের সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম পুলিশকে সক্রিয় করা হচ্ছে। এ জন্য ইউপি চেয়ারম্যান সদস্য ও গ্রাম পুলিশের সদস্য, সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। এ কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চালানো হবে।